খুলনার মশিয়ালী হত্যা
তিন সহোদরসহ ২২ জনের নামে মামলা ৩ আসামির রিমান্ড
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার দুপুরে খুলনার মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে আদালতে আসামি মহানগর ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি শেখ জাফরিন হাসানকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই লুৎফর হায়দার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার জানান, হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি জাফরিনকে ৮ দিনের এবং আরমান ও জাহাঙ্গীরকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মশিয়ালী হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর শনিবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়। নিহত সাইফুল ইসলামের বাবা সাইদুল শেখ বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া, তার সহোদর বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাফরিন হাসান ও মিল্টন এবং জাহাঙ্গীর ও আরমানসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হোতা শেখ জাফরিন হাসানকে শনিবার বিকাল ৫টায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে কেএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এছাড়া শুক্রবার জাফরিন শেখের সহযোগী জাহাঙ্গীর ও আরমানকে পুলিশ যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া থেকে আটক করে। খানজাহান আলী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শুধু জাহাঙ্গীরকে আটকের কথা স্বীকার করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই জাফরিন ও মিল্টন পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যান। এ সময় জাকারিয়ার সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে মারা যান আটরা গিলাতলার মশিয়ালী এলাকার মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই এলাকার মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ কয়েকজন। এর মধ্যে আহত সাইফুল ইসলাম ১৭ জুলাই রাতে মারা যান। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী গণপিটুনি দিয়ে জাকারিয়া বাহিনীর সদস্য জিহাদ শেখকে হত্যা করে। এ ঘটনায় মোট চারজন নিহত হন।
