Logo
Logo
×

খবর

কুমিল্লায় পেটে তুলা গজ রেখেই সেলাই

Icon

আবুল খায়ের, কুমিল্লা ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কুমিল্লায় পেটে তুলা গজ রেখেই সেলাই

কুমিল্লার বরুড়ায় পেটে তুলা-গজ রেখেই নাফসি জাহান নামে এক কলেজছাত্রীর অপারেশন সম্পন্ন করেছেন দুই চিকিৎসক। বরুড়া উপজেলা সদরের ফেয়ার হসপিটালে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার চার মাস পর রোববার বিকালে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর বাদী হয়ে কুমিল্লার আমলি আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

নাফসি জাহান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

মামলার বিবরণ ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১২ এপ্রিল রাতে পেটের ব্যথা নিয়ে বরুড়া পৌর এলাকার কাশেম শফি উল্লাহ কাজলের মেয়ে নাফসি জাহান ফেয়ার হসপিটালে ভর্তি হন। এ সময় ওই ছাত্রীর অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা বলে অনুমান করেন চিকিৎসকরা। পরদিন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. মো. রাশেদ-উজ-জামান রাজিব নাফসির অপারেশন করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর পেটে তুলা ও গজ রেখেই সেলাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপারেশনের পরপরই ওই ছাত্রী পেটে আবারও তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা কমাতে ডা. ইকবাল ব্যথানাশক এবং অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন। এভাবে প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও রোগীর পেটের ব্যথা কমেনি। পরে রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর তার বোনের আলট্রাসনোগ্রাফি করান। এতে তার পেটে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করা যায়। পরে ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ রোগীকে পুনরায় অপারেশন করেন। এ সময় ছাত্রীর পেট থেকে গজ-তুলা ও পুঁজ বের করা হয়। তানজীদ রফি অন্তর বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িত দুই চিকিৎসকের সঠিক বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছি, আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, অপারেশনের দিন আমি ছিলাম না, রোগী যেদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি গেছে সেদিনও ছিলাম না। তবে তিনি রোগীকে ওষুধ দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার রাশেদ উজ-জামান রাজিব বলেন, আমি যথাযথভাবেই চিকিৎসা করেছি। এ ছাড়া অপারেশনে কোনো প্রকার সমস্যা হলে আগেই অবহিত করার দরকার ছিল। ঘটনার চার মাস পর এমন অভিযোগ করা ঠিক নয়, তারপরও আমি বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

মামলা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম