Logo
Logo
×

খবর

বগুড়ার গাবতলীতে বিষ খাইয়ে ননদকে হত্যা

স্বামীর মামলায় স্ত্রী গ্রেফতার

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় পানের সঙ্গে উকুন মারার বিষ খাইয়ে ননদ সাথী বেগমকে (২৭) হত্যার অভিযোগে ভাবি পপি আকতারকে (২২) গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর করা মামলায় পপিকে শুক্রবার গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা মধ্যপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মণ্ডলের ছেলে আল-আমিন মণ্ডলের সঙ্গে বগুড়া সদরের বুজরুকবাড়িয়া কাজীপাড়ার জহুরুল ইসলামের মেয়ে পপির বিয়ে হয়। তাদের আতিকা খাতুন (৩) নামে এক মেয়ে রয়েছে। চার বছর আগে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে পপির মতবিরোধ চলে আসছে। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এক পর্যায়ে পপি তার শ্বশুর ও শাশুড়িকে হত্যার পরিকল্পনা করে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে জর্দার সঙ্গে উকুননাশক বিষ মেশানো পান তিনি শ্বশুর ও শাশুড়িকে খেতে দেন। শ্বশুর পান না খেলেও শাশুড়ি রাশেদা বেগম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের মালিয়ানডাঙ্গা গ্রামের উজ্জ্বল আকন্দের স্ত্রী সাথী বুধবার সকালে ধোরা গ্রামে বাবার বাড়ি ছুটে আসেন।

এদিন পপি কৌশলে ননদ সাথীকে উকুননাশক বিষ খাওয়ান। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাথী মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বোনকে হত্যা ও মাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আল-আমিন স্ত্রী পপির বিরুদ্ধে মামলা করেন। শুক্রবার সকালে মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে একমাত্র আসামি পপিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ননদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন পপি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিকালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন হাসানের আদালতে পপিকে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম