টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চার রোগীর মৃত্যু
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিইউ চালু হয়নি
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) এখনও চালু হয়নি। তাই করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের পরে বের করে আনা মুমূর্ষু চার রোগী মারা গেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের পর আইসিইউ থেকে বের করে আনা রোগী টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষের আমির হামজা মিয়া (৯২) এবং সখীপুরের গান্দিনাপাড়া এলাকার সৈয়দ আলী (৭০) করোনা ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। এছাড়া আইসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা সখীপুর পিএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ধীরেন্দ্র নাথ দাসকে রাতে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। অপর রোগী ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের (৪০) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় করোনা ওয়ার্ড থেকে আতঙ্কিত হয়ে তাকে স্বজনরা বাইরে বের করে এনেছিলেন। এ সময় অক্সিজেনের অভাবে তার অবস্থার অবনতি হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আইসিইউতে থাকা ১০ করোনা রোগীর পাঁচজন অন্যত্র চলে যান। বাকিদের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইসিইউ অকেজো হওয়ার পর যে রোগীদের অবস্থা খারাপ তাদের ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. মো. আতাউল গনি হাসপাতালে করোনা অগ্নিকাণ্ডের পরপরই উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতার নেতৃত্ব দেন। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিইউ মেরামত করে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে চালু করা যাবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হাইফ্লো নাজাল ক্যানুলা থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রোগীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
