Logo
Logo
×

খবর

সংবাদ সম্মেলনে ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ

শ্বেতপত্র নাটক মুসলিম সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তির

আলেমদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ মে ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যারা ওয়াজের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র নাটক করেছে তারা মুসলিম বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধ শক্তি বলে জানিয়েছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। পরিষদের ওলামারা বলছেন, এরা বাঙালি মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাইরে থেকে আমদানিকৃত সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

লিখিত বক্তব্যে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। তবে কারও বিরুদ্ধে আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে সে বিষয়ে কিছু বলার নেই জানিয়ে পরিষদ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামিন পাওয়ার অধিকার সবার আছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করার পর জামিন পাচ্ছে। খুনের আসামি জামিন পাচ্ছে। অথচ হয়রানিমূলক মামলাতে আলেমা-ওলামারা জামিন পাচ্ছে না।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নামটিই বিতর্কিত। কাউকে নির্মূল করার জন্য কমিটি গঠন করা হতে পারে না। কারণ, আইনের চোখে সবাই সমান। বিতর্কিত সংগঠন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং জাতীয় সংসদের আদিবাসী ও সংখ্যালঘু বিষয়ক ককাসের উদ্যোগে গঠিত বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণ কমিশন’ নামে কথিত কমিশন একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে। ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন’ শীর্ষক কথিত শ্বেতপত্রটি গত ১২ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোড়ক উন্মোচন করেছেন। এর দুই মাস পরে গত ১২ মে শ্বেতপত্রটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

শ্বেতপত্র প্রকাশের সঙ্গে জড়িতদের ভাষ্যমতে, এখানে ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদ্রাসা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১৬ জন আলেমের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে ধর্ম ব্যবসায়ী বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, ধর্ম ব্যবসায়ীদের অপরাধের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এই শ্বেতপত্র জনসাধারণের সামনে প্রকাশ করা হয়নি। কথিত শ্বেতপত্র নিয়ে তাদের এক ধরনের রাখঢাক-লুকোচুরি ও মিডিয়াবাজি প্রমাণ করে-তারা সারবত্তাহীন অভিযোগপত্র নিয়ে নাগরিকদের মাঝে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম