Logo
Logo
×

খবর

গজারিয়ায় দোকান মালিককে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি

এএসআই ক্লোজড

Icon

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এক দোকান মালিককে তুলে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা দাবি করেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার এএসআই সুমন মিয়া। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ওই এএসআই-সহ তার সহযোগীদের অবরুদ্ধ করেন এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় দোকান মালিককে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ওই এএসআইকে ক্লোজ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই দোকান মালিকের নাম শাকিল ফরাজী (২৬)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের মধ্য বাউশিয়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী এমদাদুল হক ফরাজীর ছেলে।

শাকিল ফরাজী জানান, মধ্য বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ডে তার খাজা আজমেরী ভ্যারাইটিজ স্টোর নামে একটি দোকান আছে। বোরবার সন্ধ্যায় গজারিয়া থানার এএসআই সুমনের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার নামে নারায়ণগঞ্জে বন্দর থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেন এবং কয়েক মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় যাননি বলে জানান। এ সম্পর্কিত কাগজপত্র দেখতে চাইলে অপারগতা প্রকাশ করেন এএসআই সুমন। পরদিন সকাল ৯টার দিকে ওই এএসআই একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার নিয়ে এসে কথা বলার কথা বলে তাকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় গাড়িতে টি-শার্ট পরিহিত এসআই পরিচয় দেওয়া আরেক ব্যক্তি, এক কনস্টেবল রফিকুল ও গাড়ির চালক ছিলেন। চালক গাড়িটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন চর বাউশিয়া এলাকার নাবিস্কো কোম্পানির এক নির্জন বাগানে নিয়ে যান। এরপর পিস্তল দেখিয়ে তার (শাকিল) কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করেন এএসআই সুমন। দাবি করা টাকা না দিলে মাদক মামলার আসামি হিসাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। স্থানীয়রা খবর পেয়ে এএসআই সুমনসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করেন। এপর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় তাকে (শাকিল) উদ্ধার করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম