গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের উপসচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে একটি পরিবার। শনিবার উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী পরিবারটি বলেছে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছে। উপসচিব তার মাকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও হুমকিধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে পরিবারটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. মানিক সরদার বলেন, ‘আমার বাবা ১৯৪০ সালে ৯০নং ঘোনাপাড়া মৌজায় ১৭ শতাংশ জমি কিনে বসবাস করে আসছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ঢাকা থাকলেও মা বাড়িতেই থাকেন। আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে উপসচিব মোসা. রোকেয়া পারভীনের মা পান্না রহমান প্রায় ৬ শতাংশ জমি নিজ নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। পরে জমির মালিকানা নিতে ২০১৮ সাল থেকে আমাদের নামে ১১টি মামলা দেন। ৯টি রায় আমাদের পক্ষে যায়। পরবর্তী সময়ে একতরফা রায় ও ডিক্রিমূলে পান্না রহমান আদালতে দখলজারির মামলা করেন। কিন্তু মামলার কোনো নোটিশ আমরা পাইনি। মামলা সম্পর্কে আমরা কিছু না জানলেও আমাদের জমির ওপর থাকা টিনশেডের দুটি ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আমার বৃদ্ধ মা বাড়িতে একা থাকায় ঘরের কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। উপসচিব রোকেয়া পারভীন পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোন করে আমাদের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপসচিব ফোনে আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। প্রশাসন ও পুলিশের কথা বলে আমাদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলছেন। এতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ইয়ারুন্নেছা, হানিফ সরদার, শাবানা বেগমসহ পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপসচিব রোকেয়া পারভীনের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিতেই তিনি ‘মিটিংয়ে আছি, পরে কথা বলব’ বলেই সংযোগ কেটে দেন।