এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর জেলার ছয় আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমানতালে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের হিসাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। বাড়ছে সংঘাতের শঙ্কাও। বিভিন্ন আসনে প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তারপরও এ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলার সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু, জাতীয় পার্টির হুসেইন মকবুল আসিফ শাহরিয়ার ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত মসিউর রহমান রাঙ্গার ত্রিমুখী লড়াই হবে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এ আসনে উত্তেজনা ততই বাড়ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা যে কোনো সময় সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারেন এমন শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডিউক চৌধুরীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সরকার বিটু এবং জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিসুল ইসলাম সরকারদলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন নির্বাচন অফিসে। এখানে উত্তেজনা রয়েছে।

রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানীর সমর্থন বাড়ছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা রানী এবং তার সমর্থকের ওপর হামলা করেছেন এমন দাবি করেছেন রানী।

রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এখানে জাতীয় পার্টির সঙ্গে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেক রহমান। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন সরকার এবং জাতীয় পার্টির আনিছুর রহমান। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে নৌকার। এখানেও যে কোনো সময় সংঘাতের আশঙ্কা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।

জানা গেছে, রংপুর জেলার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএফ, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন দল এবং স্বতন্ত্র মিলে ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৯ জন।