|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিশ্বব্যাপী শারীরিক অসুস্থতা ও কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ মাথাব্যথা। এ সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি রোগীর কোথায়, কতদিন থেকে এবং কতটা তীব্র ও ব্যথা তা জেনে চিকিৎসা দেন। প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা ও এক্স-রে করার প্রয়োজন হয়। জেনে রাখা দরকার, অ্যালার্জির কারণেও মাথাব্যথা হয়ে থাকে। কোন অ্যালার্জেনের জন্য এ ব্যথা হচ্ছে তা জানা জরুরি।
কোন ধরনের মাথাব্যথা অ্যালার্জি থেকে হয়- তিন ধরনের মাথাব্যথার কারণ অ্যালার্জি। সাইনাস হেডেকম মাইগ্রেন ও ক্লস্টার হেডেক।
সাইনাস হেডেক- গালের হাড়ের পেছনে, কপালে ও নাকে সাইনাস থাকে। সাইনাসের গর্ত থেকে যা কিছু নির্গত হয় তা নাকের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। এ নিঃসরণের পথ বন্ধ হয়ে গেলে, মাথার ভেতরের চাপ বাড়তে থাকে, সাইনাস ফুলে যায় ও মাথাব্যথা শুরু হয়। কখনও কখনও এ ব্যথা দাঁতে ছড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে মুখে বা নাকে ডিকনজেসপেন্ট ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। এন্টিবায়োটিক প্রয়োজনমতো দিতে হবে। এন্টিহিস্টামিন এক্ষেত্রে কার্যকরী নয়।
মাথাব্যথার সঙ্গে যদি চুলকানি, হাঁচি, সর্দি থাকে তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।
মাইগ্রেনে মাথার যে কোনো একদিকে মৃদু থেকে তীব্র ব্যথা হয়। সূর্যের আলোতে ব্যথা বেড়ে যায়। ক্লাসিক মাইগ্রেনের আগে ভিন্ন রকম গন্ধ পাওয়া, চোখে কম দেখা যায়। চকলেট, প্যাকেটজাত খাদ্য, মিষ্টি মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ায়।
অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ চন্দ্র দাস
অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ
দি অ্যালার্জি ও অ্যাজমা সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা
মোবাইল : ০১৭২১৮৬৮৬০৬
