২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে কল্যাণ রাষ্ট্র : তথ্যমন্ত্রী
সাংস্কৃতিক রিপোর্টার
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেট’-এ পরিণত করতে যাচ্ছি আমরা। উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি এবং কল্যাণ রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়ার এ প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে রোববার সকালে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা রেড-অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স আয়োজিত ‘জার্নালিস্টস ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
‘আমাদের দেশের নারীরা কখনও ভাবেনি যে, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হবে- যেটা পশ্চিম ইউরোপে দেয়া হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়া হয়। আমাদের দেশে কেউ স্বামী-পরিত্যক্তা ভাতা দাবিই করেননি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা চালু করেছে। উন্নত দেশগুলোতেও এমন ভাতা দেয়া হয় না। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা দেশকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেটে রূপান্তরিত করতে চাই এবং সেই লক্ষ্যেই সব কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে।’
ড. হাছান বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা যে স্বপ্নের কথা বলেছি, একটি উন্নত দেশ গঠনের পাশাপাশি আমরা যদি উন্নত জাতি গঠন করতে পারি সেজন্য কাজ করতে হবে। সেখানে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রেড-অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী একেএম মহিউল ইসলাম, সম্মানীয় অতিথি নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান জেরোয়েন স্টিজ, আমন্ত্রিত অতিথি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের লাইন পরিচালক ড. আশরাফুননেছা ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেইন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯০ সাংবাদিককে সনদ ও এ বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের জন্য ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য : সভা শেষে ডেঙ্গু এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কথাবার্তায় মনে হয়, মশা কামড় দেয়ার জন্যও আওয়ামী লীগ দায়ী। এই ভাবে কথা বলা তাদের রাজনৈতিক দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া কিছুই নয়।’ তিনি বলেন, এখন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও সেটি কোনো মহামারী আকারে হয়নি এবং সরকার তা প্রতিরোধে সবকিছু করছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে।
