দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এ কনভেনশন বাস্তবায়নে দুদক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের বহুমুখী কর্মতৎপরতা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশের সরকার দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করছে। ফলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে দুর্নীতির যে কোনো ঘটনায়। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ‘রিভিউ অব দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস কনভেনশন এগেইনেস্ট করাপশন’-এর ১০ম সেশনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি কনভেনশনে বলেন, বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে বেশকিছু সফলতা অর্জন করে, উত্তম চর্চার বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের ২৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যপ্রক্রিয়ায় পদ্ধতিগত অনিয়ম-দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করতে দুদক ২৫টি প্রতিষ্ঠানিক টিম গঠন করেছে। এসব টিমের সুপারিশসমূহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হচ্ছে। ইকবাল মাহমুদ জানান, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নৈতিকতা চর্চার বিকাশে দেশের ২৮ হাজার ১৮৩টি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দুদক দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনগণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন তাদের কণ্ঠ উচ্চকিত করতে পারছে পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সমাজের সৎ, মর্যাদাবান এবং চারিত্রিক দৃঢ়তাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে দেশব্যাপী ৫৪১টি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশনে দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য টোল ফ্রি হটলাইন-১০৬ চালু করা হয়েছে।