যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ওষুধ রেমডেসিভির অনুমোদন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
আর মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই চলে আসতে পারে করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাকসিন। এখনো পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে থাকা এই ভ্যাকসিন জুন মাসেই বাজারে ছাড়া হতে পারে। তার আগে এটি দেয়া হবে ব্রিটেনের এনএইচএস কর্মীদের মধ্যে। ভ্যাকসিন তৈরিতে অক্সফোর্ডের সঙ্গে আছে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট আস্ট্রাজেনকা। তারা এর উৎপাদন ও বৃহৎ পরিসরে বণ্টনের দায়িত্বে আছে।
এদিকে করোনা চিকিৎসায় ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
আস্ট্রাজেনকার সঙ্গে অক্সফোর্ডের সমঝোতার বিষয়টি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। দ্য মিরর জানিয়েছে, এই সমঝোতার ফলে দ্রুতই বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দেয়া যাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যে মানবদেহে এই ভ্যাকসিন প্রবেশ করানো হয়েছে। এতে ব্রিটেনের শত শত স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জন বেল বিবিসিকে জানান, জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই মানব দেহে ভ্যাকসিনের প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তখন এনএইচএস কর্মীরা এর প্রথম ব্যবহারকারী হবে। তিনি নিশ্চিত করে বলেন, একবার এটি কার্যকর প্রমাণিত হলেই সমগ্র বিশ্ব এটি উৎপাদন শুরু করতে পারবে। যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো যেখানে এই ভ্যাকসিন সব থেকে বেশি জরুরি সেখানে সময় মতো এটি পৌঁছানো যায়।
প্রথম ওষুধ অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রে : করোনা চিকিৎসায় রেমডেসিভির ওষুধকে অনুমোদন দেয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটাই এই ভাইরাসের চিকিৎসায় প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ও ওষুধ। উৎপাদনকারী কোম্পানি জিলিড ১৫ লাখ ডেমডিসিভির স্যাম্পল সরবরাহ দেবে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, আগামীকাল সোমবার থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে বিতরণ করা হবে এই ওষুধ। ওষুধটি মূলত বানানো হয়েছিল ইবোলা চিকিৎসার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি এস ফাউসি এ ওষুধটির ব্যাপারে বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে রেমডিসিভির কার্যকর।
টিকা কবে আসবে জানালেন বিল গেটস : মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কোভিড -১৯-এর টিকা বিশ্ব কখন হাতে পেতে সক্ষম হবে সে সম্পর্কে তার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন। এক ব্লগ পোস্টে তিনি লিখেছেন, টিকা তৈরিতে ১৮ মাস লাগবে। গেটসনোটস ওয়েবসাইটে বিল গেটস লিখেছেন, তিনি টিকা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি এস ফাউসির সঙ্গে একমত। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা ১৮ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। তবে বিল গেটস আরেকটু বেশি আশাবাদী হয়ে বলেছেন, নয় মাসের মধ্যেও টিকা হাতে চলে আসতে পারে।
প্রচলিত কোন পদ্ধতিতে টিকা তৈরি হয় তার ব্যাখ্যা করে গেটস বলেন, ১৮ মাস যদিও অনেক দীর্ঘ সময় মনে হয় তবুও বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে এটাই হবে দ্রুততম টিকা উদ্ভাবনের ঘটনা। টিকা তৈরিতে সাধারণত পাঁচ বছর সময় লাগে। একবার আপনি লক্ষ্য নির্ধারণ করার জন্য কোনো রোগ বাছাই করার পরে, আপনাকে ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে এবং এটি প্রাণীতে পরীক্ষা করতে হবে। তারপরে মানুষের ওপর নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য পরীক্ষা শুরু করা হয়।
