Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

কমছে রমজাননির্ভর সাত পণ্যের দাম

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ০২ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মনিটরিং জোরদার, ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি ও বৃষ্টিতে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় সপ্তাহের ব্যবধানে রমজানে অতি ব্যবহৃত সাত পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে। পণ্যগুলো হচ্ছে- ছোলা, মসুর ডাল, আদা, রসুন, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল ও খেজুর। এছাড়া বাজারে এতদিন বাড়তি দরে বিক্রি হওয়া সব ধরনের চালের দামও কমছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজারমূল্য প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ও শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।

টিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলায় ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ দাম কমেছে। প্রতি কেজি মসুর ডালে (বড় দানা) দাম কমেছে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। দেশি আদায় কমেছে ৩৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, আমদানি করা আদায় ৪১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। প্রতি কেজি রসুনে দাম কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। খোলা সয়াবিন তেলে প্রতি লিটারে ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, পাম অয়েল সুপারে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি খেজুরে দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সরু চাল কেজিতে কমেছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ ও মাঝারি আকারের চালে দাম কমেছে ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

জানতে চাইলে টিসিবির মুখপত্র মো. হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, দাম কমার পেছনে টিসিবির ভূমিকা রয়েছে। টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে রাজধানীসহ সারা দেশে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করছে। এতে টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে এসব পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। যে কারণে বাজারে চাপ কম পড়ছে।

রাজধানীর রায় সাহেব বাজার, নয়াবাজার ও জিনজিরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শনিবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৬০ টাকা, যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৭০ টাকা। মসুর ডাল (বড় দানা) প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা। সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২২০-৩০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫০-৩৫০ টাকা। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৯৩ টাকা, এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৬ টাকা। পাম অয়েল সুপার প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৮৩ টাকা, যা ছিল ৮৫ টাকা। ছোলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, যা ছিল ৮৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩০০-৩২০ টাকা। এছাড়া আমদানি করা আদা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা, সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকা।

জানতে চাইলে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ড. গোলাম রহমান যুগান্তরকে বলেন, এটা নিশ্চয়ই বলতে হবে বাজার তদারকি সংস্থাগুলো কাজ করছে। তবে তাদের আরও ভালোভাবে প্রত্যেকটি বিষয় ক্ষতিয়ে দেখতে হবে। কারণ, দেশে কোনো পণ্যের সংকট নেই।

বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার যুগান্তরকে বলেন, প্রতিদিন অধিদফতরের পক্ষ থেকে রাজধানীতে ৬টি টিম পাইকারি ও খুচরা বাজার এবং মোকামে অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া ঢাকার বাইরেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এ সময় আমরা কারসাজির ঘটনায় অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি। ফলে বাজারে পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম