তলানিতে পোশাক রফতানি আয়
বন্ধ কারখানায় এপ্রিলে ৬০ ভাগ বেতন দেয়ার অনুরোধ বিজিএমইএর
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
করোনাভাইরাসের প্রভাবে পোশাক খাতের রফতানি আয় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত অর্থবছরের তুলনায় শুধু এপ্রিলে পোশাক রফতানি কমেছে ৮৪ শতাংশের বেশি।
টাকার অংকে এপ্রিলে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৪২ কোটি ডলার। বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। একই সঙ্গে বন্ধ কারখানাতেও এপ্রিলে শ্রমিকদের ৬০ ভাগ বেতন দিতে মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ থেকেই পোশাক রফতানিতে ধস নামতে শুরু করে। অনেক ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন। আবার অনেকে কারখানাকে তৈরিকৃত পণ্যও শিপমেন্ট করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। যার প্রভাব পড়েছে এপ্রিলে। এ সময় রফতানি আয় প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
এক মাসের ব্যবধানেই ১৮৯ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি কমেছে। মার্চে যেখানে ২২৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, সেখানে এপ্রিলে ৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। বিশ্ববাজারে এ অচলাবস্থা বিরাজ করলে সামনের দিনগুলো আরও ভয়াবহ হতে পারে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ কম। শেষ পর্যন্ত কত কম হয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে এপ্রিলে বন্ধ থাকা পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতনের ৬০ শতাংশ পরিশোধে সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ। রোববার সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
সদস্যদের পাঠানো বিজিএমইএর চিঠিতে বলা হয়েছে, মহামারী করোনাভাইরাসের থাবায় পুরো এপ্রিলে শিল্পের উৎপাদন বন্ধ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিক সবাই। এমনই এক পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকার মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় এক বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এপ্রিলে বন্ধ থাকা পোশাক কারখার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা বেতনের ৬০ শতাংশ পাবেন।
এর মধ্যে যদি কোনো শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কোনো দিবসে কাজ করে থাকেন, তাহলে ওই শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তা কর্মকালীন দিবসগুলোর জন্য টাকা পাবেন। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে তা পরিপালনের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
