পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ২২ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে সরকারের বোরো ধান কেনার সিদ্ধান্তের সফলতা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেননা অ্যাপে ধান কেনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ উপজেলায় কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদন সন্তোষজনক নয়। ফলে এ পদ্ধতিতে ধান কেনা সফল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রোববার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (আরসি-ফুড) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য অধিদফতর।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি বোরো মৌসুমে অ্যাপের মাধ্যমে ২২ উপজেলায় ধান সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শতভাগ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা এবং প্রচারণা চালানোর জন্য পত্র দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে কৃষক নিবন্ধন ও ধান বিক্রির আবেদনের সময়সীমা ৭ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২ মে পর্যন্ত কৃষকের অনলাইন আবেদনের অগ্রগতির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাভার, নরসিংদী, রাজবাড়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও জামালপুর সদর এবং কুমিল্লা দক্ষিণে কৃষক নিবন্ধনধারীর আবেদন সন্তোষজনক নয়’। তবে টাঙ্গাইল, বগুড়া, রংপুর, ঝিনাইদহ ও নড়াইল সদরে কৃষি কর্মকর্তার কাছে বিপুল পরিমাণ আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ অবস্থায় অ্যাপের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম সফল করতে সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করে ব্যাপক প্রচার চালানোসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।

চলতি বোরো মৌসুমে ২২ উপজেলায় ‘ডিজিটাল খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা ও কৃষকের অ্যাপ’-এর মাধ্যমে সংগ্রহের অনুমোদন দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। উপজেলাগুলো হল- সাভার, গাজীপুর সদর, নরসিংদী সদর, মানিকগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, রাজবাড়ী সদর, টাঙ্গাইল সদর, ময়মনসিংহ সদর, জামালপুর সদর, শেরপুর সদর, ভোলা সদর, নওগাঁ সদর, বগুড়া সদর, রংপুর সদর, দিনাজপুর সদর, ঝিনাইদহ সদর, যশোর সদর, হবিগঞ্জ সদর, মৌলভীবাজার সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও বরিশাল সদর। এবার বোরোতে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টন ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।