করোনার বিস্তার রোধ
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১৩ নির্দেশনা
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার সব মন্ত্রণালয় ও অধিনস্থ দফতর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিতকরণে ১৩টি জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনাসমূহ : ১. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। ২. অফিস চালু করার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/ রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে। ৪. অফিস পরিবহনসমূহ অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন পরত স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে। ৫. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।
৬. যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৭. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে। ৮. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দ্বারা জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। ৯. অফিসসমূহে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১০. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ১১. কর্মকর্তা/কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ১২. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ১৩. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
