নারায়ণগঞ্জে ১০ গার্মেন্ট শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত
‘ডিজাস্টার’র আশঙ্কা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নারায়ণগঞ্জে ১০ গার্মেন্ট শ্রমিক করোনায় আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ। তবে আক্রান্ত শ্রমিকদের কর্মস্থান শাটডাউন করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এখন দেশে করোনার পিক টাইম চলছে। এভাবে চলতে থাকলে নারায়ণগঞ্জে ‘ডিজাস্টার’ কেউ ঠেকাতে পারবে না।
সরেজমিন দেখা গেছে, একের পর এক মার্কেট বন্ধ করেও জনস্রোত ঠেকাতে পারছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সামাজিক দূরত্বের বালাই তো দূরের কথা, ‘রেড জোন’ ঘোষণাকৃত নারায়ণগঞ্জ শহরে লকডাউনের মধ্যেও যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। শুধু নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের অবস্থাই যে এমন তা নয়, শীতলক্ষ্যা নদীর খেয়া পারাপারের ঘাটগুলোতে বিকালের পর ঘুরমুখো মানুষের ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই এ জেলা করোনার এপি সেন্টার। জেলায় প্রায় সাড়ে ৫শ’র ওপর গার্মেন্ট, শিল্প কারখানা চলছে পুরোদমে, মার্কেট বিপণিবিতানও লোকে লোকারণ্য। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তরফ থেকে লকডাউন বাস্তবায়ন করা এখন শুধুই ইতিহাস। জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন করেই যেন দায়িত্ব শেষ নারায়ণগঞ্জের মার্কেট মালিক আর ব্যবসায়ীদের। আর যত ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়েছে হতদরিদ্র ফুটপাতের হকারদের। শুধু হকার উচ্ছেদই নয়, দরিদ্র হকারদের মালামাল পর্যন্ত ক্রোক করছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা করোনা সমন্ব^য় কমিটির ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম। এ সময়ের মধ্যে জেলায় ২ জনের নতুন মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত জেলায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যেখানে ২২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। আর এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪৮৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যার মধ্যে ১৬৩১ জনের ফলাফলে পজিটিভ এসেছে।
