পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতর
১২ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর অবস্থানে হাইওয়ে পুলিশের সদর দফতর। চাঁদাবাজির অভিযোগে এরই মধ্যে ১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তারা হল কনস্টেবল থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা। তাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম।
শনিবার বিকালে তিনি যুগান্তরকে বলেন, ৫ মে আমি হাইওয়ে পুলিশে যোগদানের পর থেকেই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বার্তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দিই। এরপরও চাঁদাবাজিতে যেসব পুলিশ সদস্যের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
শনিবার যুগান্তরে ‘সারা দেশেই পরিবহন চাঁদাবাজরা বেপরোয়া’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে কথা বলতে গিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বিআরটিএ কার্যালয়ে এক মিটিংয়ে আমি বলেছি যদি কোথাও হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্য চাঁদাবাজি করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন। আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। মহাসড়কে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় ম্যাসেজ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এবার চাঁদাবাজি বন্ধ হবেই হবে। তিনি বলেন, ভিডিও কনফারেন্স করে সব ইউনিটকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছি। বিভিন্ন রিজিওনের এসপিরা মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মিটিং করছেন।
হাইওয়ে পুলিশ সদর দফতরের এসপি (অপারেশন ও স্পেশাল আফেয়ার্স) আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা কেবল পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছি না। হাইওয়েতে যারাই চাঁদা নিচ্ছেন তাদের আইনের আওতায় আনছি। এরই ধারাবাহিকতায় ২ জুন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর এলাকায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের সামনে অভিযান চালাই। এ সময় চাঁদার টাকাসহ মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন চন্দ্রা শাখার সভাপতি লাকি মিয়া এবং সহ-সভাপতি মানিক বেপারিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করি। এ সময় ৩-৪ চাঁদাবাজ পালিয়ে যায়। এসপি আনিসুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রতি গাড়ি থেকে ৮০০ টাকা করে আদায় করছিল।
এসপি আনিসুজ্জামান আরও বলেন, ৪ জুন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন) প্রান্তি গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসিপুর রহমান ওরফে আসিফ নামে এক চাঁদাবাজকে চাঁদা আদায়কালে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চাঁদার ৭৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে সাভার হাইওয়ে থানার এসআই সাকিব হাসান আশুলিয়া থানার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
