Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

ডিএনসিসির ৪৫০৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৪ হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে মিরপুরে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় কর্পোরেশন সভায় এই বাজেট অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ২ হাজার ৬০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদিত হয়। ডিএনসিসির জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

কর্পোরেশন সভার শুরুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অনলাইনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। বাজেট সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয়কে সীমিত রেখে উন্নয়ন ব্যয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। মশক নিধন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সম্প্র্রসারিত নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

গত অর্থবছর (২০১৯-২০) রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা ৬৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র বলেন, মূলত হোল্ডিংট্যাক্স, বাজার সালামি, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সম্পত্তি হস্তান্তর করা লক্ষ্য অনুযায়ী আদায় না হওয়ায় মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৯৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ‘রাজস্ব আয়’ ছাড়া ‘অন্যান্য আয়’ ১২ কোটি টাকা এবং ‘সরকারি অনুদান’ ১৫০ কোটি টাকা এবং ‘সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে ৩ হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্ব ব্যয় ৬১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ‘মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ খাতে ৭০ কোটি টাকা, ‘নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ খাতে ১০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে জরুরি নাগরিক সেবা যেমন মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার এ ১৮টি ওয়ার্ড থেকে ডিএনসিসির আয় একেবারে শূন্য। এই ১৮টি ওয়ার্ডে অবস্থিত বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে হোল্ডিংট্যাক্স আদায় করার বিষয়ে আমরা ভাবছি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ‘অন্যান্য ব্যয়’ ১৩ কোটি টাকা এবং ‘মোট উন্নয়ন বাজেট’ বাবদ ব্যয় ৩ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘নিজস্ব উৎস ও সরকারি অনুদান’ থেকে ৫৯৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ‘সরকারি বিশেষ অনুদান’ ৫০ কোটি টাকা এবং ‘সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন বাবদ ৩ হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম হোল্ডিংট্যাক্স আদায়ের ওপর জোর দেয়ার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১ হাজার গাছ লাগাতে হবে। সভায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, বিভাগীয় প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম