Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

টিআইবির বিবৃতি

ঢাকা ওয়াসার এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা জরুরি

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকা ওয়াসায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সব ধরনের চুক্তিভিত্তিক পদে নিয়োগে আইনের যথাযথ অনুসরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ঢাকা ওয়াসার বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিতে ওয়াসার এমডির পুনঃনিয়োগ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নিরীক্ষা জরুরি বলে সোমবার বিবৃতি দিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি।

টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়- বিগত সময়ে এ ধরনের নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগসহ নিয়মতান্ত্রিকতা চর্চার ব্যত্যয় দেখা গেছে। তাই প্রয়োজনে আইনের সংস্কার করে অযাচিত প্রভাব ও অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে ওয়াসা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের লালিত এককেন্দ্রিক আধিপত্য উৎখাত করে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর বর্তমান এমডির মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই সংশ্লিষ্ট খাতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যোগ্য ও অভিজ্ঞ নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে।

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০০৯ সালে প্রশ্নবিদ্ধ প্রক্রিয়ায় ঢাকা ওয়াসার বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিতর্কিত নিয়োগের পর, টানা পাঁচ মেয়াদে ১১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও অন্যসব নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারই তার নিয়োগ নবায়নের ক্ষেত্রে কোনো না কোনোভাবে আইন ও নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। এমনকি প্রথমবার নিয়োগের সময় অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য দালিলিক নির্দেশও দেয়া হয়। এরপরও কখনও বয়সসীমা বাড়িয়ে, আবার কখনও বোর্ডের সভার সুপারিশ পাশ কাটিয়ে পুরনো সভার তামাদি সুপারিশ ব্যবহার করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি বোর্ডের মতামত গ্রহণের তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বলে পুনঃনিয়োগ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো শুধু আইনের সুস্পষ্ট ব্যত্যয় নয়, বরং ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজশের সংস্কৃতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের দৃষ্টান্ত।

বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, আইন অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে নীতিমালা প্রণয়ন, এমডি ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগসহ নানাবিধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এমডি নিয়োগে ২০১৩ সালে বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে বোর্ডের সম্মতি না থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় ২০১২ সালের ১৯৮তম বোর্ডসভার তামাদি সুপারিশ আমলে নিয়ে তার পুনঃনিয়োগ নিশ্চিত করে। আইন অনুযায়ী বোর্ডই প্রার্থী চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানোর কথা। কিন্তু ২০১৭ সালেও বোর্ডের সুপারিশ ছাড়াই মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এরপরও কোনো এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে বারবার আইনের ব্যত্যয় করে প্রতিবার তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। টিআইবি বলছে, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালনকালে ওয়াসার ছোট-বড় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সেবাপর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভূতপূর্ব বিস্তারের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। কোনো কোনো বিষয় তদন্তও করা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম