স্বেচ্ছাসেবককে হুমকি, ওয়ারীতে চলছে নামসর্বস্ব লকডাউন
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে (ওয়ারীর একাংশ) কার্যত নামসর্বস্ব লকডাউন চলছে। ডাক্তার, নার্স, সংবাদকর্মী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কারোরই এলাকা থেকে বের হওয়ার নিয়ম না থাকলেও কার্যত বাসিন্দারা যা খুশি তাই করছেন। তারা অনেকটা খেয়াল খুশিমতো বের হচ্ছেন। একজন স্বেচ্ছাসেবক অভিযোগ করে বলেছেন, তাকে এক বাসিন্দা লকডাউনের পর দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
ওয়ারীর লকডাউন এলাকার ১৭টি রাস্তার মধ্যে ১৫টি বন্ধ রাখা হয়েছে। দুটি রাস্তা খোলা রয়েছে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতের জন্য। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওইসব রাস্তা দিয়ে হরহামেশা যাতায়াত করছে মানুষ। গেটে পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা একটু-আধটু বাধা দিলেও তাদের রীতিমতো ধমক দিয়েই বাইরে যাচ্ছেন বাসিন্দারা। ফলে অনেকটা নামকাওয়াস্তে চলছে এ লকডাউন। ওয়ারী এলাকায় স্থাপিত বুথে যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের প্রায় ৫০ শতাংশই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ছে।
ওয়ারীতে লকডাউনের ১৭তম দিন সোমবার দেখা গেছে, একেবারেই ঢিলেঢালা ভাব। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আজিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তি জানান, বঙ্গবাজারে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিকে অনুরোধ করায় তাকে বাইরে যেতে দেয়া হয়েছিল; কিন্তু পরে আর যেতে দেয়া হয়নি। এ এলাকার আরেক ব্যবসায়ী বিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতা যুগান্তরকে বলেন, নবাবপুরে তার দোকান। সাধারণ ছুটির সময়ও দোকান বন্ধ রাখতে হয়েছে। এদিকে লকডাউনের কারণে তিনি বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়েছেন। তিনি বলেন, যেসব বাড়িতে লোকজন আক্রান্ত আছে, সেসব বাড়ি লকডাউন না করে পুরো এলাকা লকডাউন করায় বেড়েছে ভোগান্তি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানির কারখানা চালু আছে। তিন শিফটে কাজ করা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই অন্য এলাকার বাসিন্দা। প্রতি আট ঘণ্টা পরপর শ্র্রমিকরা আসা-যাওয়া করছেন বলে জানা গেছে। ওই কারখানার লোকজনকে যাতায়াতে বাধা না দেয়ায়ও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য: ওরা যদি বাইরে থেকে আসতে পারে তাহলে আমাদের বাইরে যেতে আপত্তি কোথায়।
৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো যুগান্তরকে বলেন, এতভাবে বোঝাচ্ছি, মানুষ নিয়ম মানতে চাচ্ছে না। মানুষ এতটাই বিরক্ত যে, আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অথচ আমরা কাজ করে যাচ্ছি মানুষকে করোনামুক্ত রাখার স্বার্থে।
ওয়ারী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, একটা বড় সমস্যা হল মানুষ অকারণে বের হতে চায়। আমরা তাদের বুঝিয়ে ভেতরে রাখার চেষ্টা করছি।
