Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট উদ্ধার

শবনম জাহানকে চাকরিচ্যুত না করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

Icon

মাহাদী হাসান

প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শবনম জাহানকে চাকরিচ্যুত না করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পরও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শাস্তিস্বরূপ শবনম জাহানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে অবনতি করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাগুফতা বুশরা মিশমা যুগান্তরকে বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের পর হলের ফেসবুক গ্রুপে কথা হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই সিন্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়। প্রথমত, তিনি (শবনব) অনৈতিক কাজ করেছেন। দ্বিতীয়ত, অব্যাহতি দেয়ার পরও তাকে চাকরিতে আনা হয়েছে। অনৈতিক কাজ করেও আবার পেশায় ফেরা যায় এমন ঘটনা একটা খারাপ নজির হয়ে থাকবে। কেউ ভাবতে পারে খারাপ কাজ করলেও শাস্তি হবে না। তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহান যে ধরনের অনৈতিক কাজ করেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়নি বলে শিক্ষার্থীরা মনে করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাগিব নাইম যুগান্তরকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে সাময়িক বহিষ্কার ও স্থায়ী বহিষ্কারের মতো ঘটনা হয় সেখানে শুধু পদাবনতি কোনো বড় ধরনের শাস্তি নয়। এটাকে আমরা বলতে পারি ‘গুরু পাপে লঘু শাস্তি’, যা আমাদের আশাহত করেছে। কুয়েত মৈত্রী হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, জালিয়াতিতে আরও যারা জড়িত ছিলেন, তাদের কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদেরও শাস্তি চান।

তদন্ত কমিটির প্রধান খন্দকার বজলুল হক যুগান্তরকে বলেন, আমরা তদন্ত কমিটি ঘটনা পর্যালোচনা করে তাকে ডেমোট করতে রেকমেন্ড করেছি। সিন্ডিকেট সেটার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শবনম জাহানকে কেন চাকরিচ্যুত করা হয়নি জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, যে কোনো জিনিসের আইনগত রীতিনীতি অনুসরণ করতে হয়। প্রথম যে কমিটি (প্রধান অধ্যাপক ড. মু. সামাদ) ছিল সেটা হচ্ছে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। আর এ কমিটির সুপারিশের আলোকে তখন সিন্ডিকেট একটা সিদ্ধান্ত (সাময়িক অব্যাহতি) নিয়েছিল। আর এটা (অধিকতর তদন্তের জন্য অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের কমিটি) হল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কমিটি। তাই এ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী তাকে পদাবনতি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম