Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

আদালতে ৩ ছিনতাইকারীর স্বীকারোক্তি

ধস্তাধস্তি করায় তুর্কি মুন্নার বুকে ছুরি চালায় ওমর ফারুক

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মিরপুরের শাহআলীতে তুর্কি মুন্না খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ৬ ছিনতাইকারীর তিনজন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তারা হল- রাসেল, শাকিল ও রাসেল শিকদার। আদালতকে ৩ জন জানিয়েছে, সিএনজি অটো রিকশায় ঘুরে ঘুরে তারা ছিনতাই করছিল। তখন মিরপুর ১ নম্বর ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তুর্কি মুন্না। আকবরিয়া মসজিদের ১ নম্বর গেটের সামনে পৌঁছতেই তারা মুন্নাকে ঘিরে ধরে এবং ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মুন্না বাধা দেন। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মুন্নার বুকে ছুরি চালায় ছিনতাইকারী ওমর ফারুক। ২৭ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তুর্কি মুন্না হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় তিনজন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহআলী থানার এসআই মতিউর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এটি পেশাদার ছিনতাই চক্র। চক্রের প্রধান হলেন ওমর ফারুক। তার সহযোগীরা হল- রাসেল, শাকিল, রাসেল শিকদার, শাহিন, রাজীব, আরিফ ও রাকিব। তাদের মধ্যে শাহিন আর রাজিব ছাড়া বাকি ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর পুলিশি হেফাজতে আছে প্রধান আসামি ওমর ফারুক, রাকিব ও আরিফ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ১৭ নভেম্বর রাত ৮টায় নড়াইল থেকে বাসে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তুর্কি মুন্না। পরদিন ভোর চারটায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এরপর বন্ধু রহমতের বাসায় যাওয়ার জন্য তিনি হাঁটছিলেন। ভোর পাঁচটার দিকে ছিনতাইকারী দল তাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে। তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তুর্কি মুন্নার বন্ধু রহমত জানান, এ ঘটনার ১৫ দিন আগেও ঢাকার সড়কে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিলেন মুন্না। প্রথমবার প্রাণে বেঁচে গেলেও তার মোবাইল ফোন ও সার্টিফিকেট নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। আর এবার ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হলেন তিনি। মুন্নার স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন। রহমত বলেন, গাবতলীতে বাস থেকে নামার পর মুন্না আমাকে ফোন দিয়েছিল। বলেছিল, সে ঢাকায় পৌঁছেছে। আমার বাসায় আসছে। পরে না আসায় আমি তাকে ফোন দিচ্ছিলাম বারবার। তার মোবাইল ফোন বেজেই যাচ্ছিল। পরে জানতে পারি, মুন্নাকে খুন করা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম