সোনারগাঁয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর
ডাকাত সর্দারের তাণ্ডব
যুগান্তর রিপোর্ট, সোনারগাঁ
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
পূর্বশত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী আলগীরচর গ্রামে দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে বুধবার সকালে এক ডাকাত সর্দার ও তার সহযোগীরা দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মো. মনির হোসেন রাতে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামে বসবাসরত সাংবাদিক পরিবারের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের পরিবারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার সকালে সাংবাদিকের ভাতিজা রিয়াদের ওপর হযরত ডাকাতের নাতি মুরাদ চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মুরাদ তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে হযরত ডাকাতের নেতৃত্বে তার সহযোগী আমিন, আবদুর রহিম, জুয়েল, জুম্মন, ইয়ানুস, আল আমিন, ইমান আলী, নুরুল ইসলাম, মুরাদ, ইমরান ও শাকিলসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা হুমায়ুন কবিরের মা রাশিদা বেগম, বড় ভাই শহীদ, ভাবী ইয়াসমিন, ভাতিজা রমজান, রিয়াদ ও সুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনার পর হামলাকারীরা স্থানীয় আলগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই সাংবাদিকদের বড় ভাই মনির হোসেনকে একা পেয়ে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হযরত ডাকাত ও তার ছেলে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ বন্দরসহ বিভিন্ন থাকায় ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। পোলাপাইন মনে হয় ঝগড়া করেছে। সোনারগাঁ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ডাকাত সর্দারের তাণ্ডব
সোনারগাঁয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর
পূর্বশত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী আলগীরচর গ্রামে দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে বুধবার সকালে এক ডাকাত সর্দার ও তার সহযোগীরা দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মুমূর্ষু অবস্থায় সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মো. মনির হোসেন রাতে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামে বসবাসরত সাংবাদিক পরিবারের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের পরিবারের দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে বুধবার সকালে সাংবাদিকের ভাতিজা রিয়াদের ওপর হযরত ডাকাতের নাতি মুরাদ চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মুরাদ তার বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে হযরত ডাকাতের নেতৃত্বে তার সহযোগী আমিন, আবদুর রহিম, জুয়েল, জুম্মন, ইয়ানুস, আল আমিন, ইমান আলী, নুরুল ইসলাম, মুরাদ, ইমরান ও শাকিলসহ ২০-২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা হুমায়ুন কবিরের মা রাশিদা বেগম, বড় ভাই শহীদ, ভাবী ইয়াসমিন, ভাতিজা রমজান, রিয়াদ ও সুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনার পর হামলাকারীরা স্থানীয় আলগীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই সাংবাদিকদের বড় ভাই মনির হোসেনকে একা পেয়ে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। হযরত ডাকাত ও তার ছেলে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ বন্দরসহ বিভিন্ন থাকায় ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। পোলাপাইন মনে হয় ঝগড়া করেছে। সোনারগাঁ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।