ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে বঙ্গবন্ধুকে সুকৌশলে অবজ্ঞা
ঢাবি নীল দলের অভিযোগ
ঢাবি প্রতিনিধি
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চিহ্নিত ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করছে। এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামী লীগ-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে অত্যন্ত সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং বর্তমানে দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিঘ্নিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
বুধবার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. মো. আবদুস ছামাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীর দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে একটি ধর্মব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মীয় উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে অতীতের মতো দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে উগ্র মৌলবাদীদের এই আস্ফালনের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে তারা সুকৌশলে জাতির পিতাকে অবজ্ঞা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাস্কর্য অত্যন্ত প্রাচীন শিল্পরীতি যা সভ্যতার প্রাথমিক যুগ থেকে চর্চিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও মহান স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বহু ভাস্কর্য ও ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে। চলমান ও প্রতিষ্ঠিত একটি শিল্পরীতিকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার পেছনে যে ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীর হীনস্বার্থ নিহিত, তা অনুমেয়। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, আগামী প্রজন্মকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে না দেয়ার জন্য দেশবিরোধী মহল একটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এটি করতে গিয়ে যেভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে তাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের বর্বরতার কদর্য চেহারাই ফের উন্মোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণকে ধর্মীয় দোহাই দিয়ে পাকিস্তান শাসনামলে যেমন বোকা বানানো যায়নি, তেমনি ভবিষ্যতেও যাবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সে রাষ্ট্রে পাকিস্তানি আদর্শের ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর আস্ফালন সহ্য করা হবে না। আমরা এ ধরনের হীনচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় নীল দলের এক সাধারণ সভা বিজনেস ফ্যাকাল্টি অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ঢাবি নীল দলের অভিযোগ
ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে বঙ্গবন্ধুকে সুকৌশলে অবজ্ঞা
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চিহ্নিত ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করছে। এর প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আওয়ামী লীগ-সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে অত্যন্ত সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং বর্তমানে দেশের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ বিঘ্নিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
বুধবার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. মো. আবদুস ছামাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীর দোলাইরপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে একটি ধর্মব্যবসায়ী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ধর্মীয় উস্কানিমূলক, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে অতীতের মতো দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে উগ্র মৌলবাদীদের এই আস্ফালনের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে তারা সুকৌশলে জাতির পিতাকে অবজ্ঞা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভাস্কর্য অত্যন্ত প্রাচীন শিল্পরীতি যা সভ্যতার প্রাথমিক যুগ থেকে চর্চিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও মহান স্বাধীনতার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে বহু ভাস্কর্য ও ম্যুরাল নির্মিত হয়েছে। চলমান ও প্রতিষ্ঠিত একটি শিল্পরীতিকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার পেছনে যে ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীর হীনস্বার্থ নিহিত, তা অনুমেয়। এ থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, আগামী প্রজন্মকে জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে না দেয়ার জন্য দেশবিরোধী মহল একটি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এটি করতে গিয়ে যেভাবে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে তাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের বর্বরতার কদর্য চেহারাই ফের উন্মোচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের জনগণকে ধর্মীয় দোহাই দিয়ে পাকিস্তান শাসনামলে যেমন বোকা বানানো যায়নি, তেমনি ভবিষ্যতেও যাবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে নীতি ও আদর্শের ভিত্তিতে পাকিস্তানের কবল থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সে রাষ্ট্রে পাকিস্তানি আদর্শের ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর আস্ফালন সহ্য করা হবে না। আমরা এ ধরনের হীনচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় নীল দলের এক সাধারণ সভা বিজনেস ফ্যাকাল্টি অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।