অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন
রিয়াজুল হক-আবু আলম প্যানেলের মনোনয়নপত্র জমা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে রিয়াজুল হক-আবু প্যানেল। রোববার সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে একযোগে মনোনয়নপত্র জমা দেন এ প্যানেলের ১৮ জন। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কমিটির বিদায়ি সভাপতি আব্দুল্লাহ হারুণ পাশার পক্ষ থেকেও একটি প্যানেল তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তবে তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩ এপ্রিল বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
‘আলোর পথের যাত্রী’ শিরোনামে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে রিয়াজুল হক-আবু প্যানেল। এ প্যানেল থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, সহসভাপতি পদে বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড. শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খোন্দকার শওকত হোসেন, মহাসচিব পদে আবু আলম মো. শহিদ খান, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. ইউনুছুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুক জলিল, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশিদা বেগম, সহকারী মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সামসুজোহা চৌধুরী। এ ছাড়া সদস্যপদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডি কে চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই, খন্দকার ইফতেখার হায়দার, প্রকৌশলী দেওয়ান শাহ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ, প্রকৌশলী দেওয়ান মো. ইয়ামিন, প্রফেসর সামসাদ বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাবুদ্দীন এবং প্রফেসর ডা. আব্দুল মালেক।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতি গঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। যাদের কার্যালয় রাজধানীর সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে। নির্বাচনও এখানে অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র জানিয়েছে, বাস্তবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৮/১০ লাখের নিচে হবে না। কিন্তু ভোটার সংখ্যা রয়েছে বড়জোর পাঁচ হাজার। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে গঠিত এত বড় গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনটির চোখে পড়ার মতো কোনো তৎপরতা নেই। অফিসের ঠিকানা জানা তো দূরের কথা, সরকারি অনেক কর্মচারী এ সংগঠনের নাম পর্যন্ত জানে না। বিদায়ি কমিটির মেয়াদ দু-বছর থাকলেও তারা তিন বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সময়মতো নির্বাচন আয়োজন না করায় শেষ পর্যন্ত গত ডিসেম্বরে সরকার প্রশাসক নিয়োগ করে। বর্তমানে সংগঠনটিতে প্রশাসক হিসাবে কাজ করছেন সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ নূরুল বাছির। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সুগন্ধায় নির্বাচন আয়োজনের ঘোর বিরোধী রিয়াজুল হক-আবু প্যানেল। এ প্রসঙ্গে সাবেক সচিব আবু আলম শহিদ খান রোববার যুগান্তরকে বলেন, সংগঠনের প্রতিটি সদস্য ষাটোর্ধ্ব। তাই সুগন্ধার পরিবর্তে খোলামেলা বড় পরিসরে নির্বাচন আয়োজন করা একান্ত প্রয়োজন। সুগন্ধায় নির্বাচন হলে কোনোভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট দেওয়া সম্ভব হবে না।
