৫০ বছর পূর্তিতে ওয়েবিনারে ওয়ার্কার্স পার্টির বক্তারা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়েবিনার বক্তারা বলেছেন, বর্তমানে দেশকে যে ধারায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গঠিত বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে মোটেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখতে এবং জনগণের মালিকানার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সংবিধান রক্ষার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বুধবার দুপুরে সংগঠনটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি-৫০ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা।
আলোচনা সভায় পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ’৭১-এর ২ জুন ছিল একটি অনবদ্য দিন। এদিন এ দেশের বামপন্থিরা মুক্তিযুদ্ধকালে বামমহলে যে বিভ্রান্তি ছিল তা কাটিয়ে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করেছিলেন। এই কমিটি একদিকে যেমন প্রবাসী সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন করেছিল, তেমনি ভারতের মাটিতে ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শত বাধা পেরিয়ে ১৪টি স্থানে নিজস্ব লড়াই পরিচালনা এবং মুক্তাঞ্চল গঠন করেছিল। সভাপতির বক্তব্যে কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে মওলানা ভাসানীর অবদান ছিল অনন্য। তিনি মাও সেতুংকে চিঠিতে বলেছিলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডও প্রশ্নবিদ্ধ। ওয়ার্কার্স পার্টি এক্ষেত্রে আপোসহীন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশের সংবিধান রক্ষায় ওয়ার্কার্স পার্টি তার লড়াইয়ে পিছপা হবে না।
ওয়েবিনারে আলোচক হিসাবে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড মহাম্মদ সেলিম বলেন, সাম্প্রদায়িক বিপদ সাম্রাজ্যবাদের সৃষ্টি। তাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রুখতে জনগণের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। মানুষের জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে তাদের পাশে থেকে সাম্প্রদায়িক বিপদ থেকে মুক্ত হতে হবে। সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড গৌতম দাস বলেন, সাম্প্রদায়িক উত্থানের পেছনে বড় ভূমিকা পালন করছে নয়া উদারতাবাদ ও ভোগবাদী দর্শন। নতুন প্রজন্মকে এর খপ্পর থেকে বের করে আনতে হবে। তা না হলে সাম্প্রদায়িক বিপদ রোখা যাবে না।
পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আলী আহমদ এনামূল হক ইমরানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য শামসুল হুদা।
১৯৭১-এর ২ জুন ভারতের কলকাতায় এ দেশের বামপন্থিদের সমন্বয়ে মওলানা ভাসানীকে প্রধান করে গঠিত ‘জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’ ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ওই ওয়েবিনারের আয়োজক ছিল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
