Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

সিলেটে ছোটমনি নিবাসে শিশু হত্যা

সিসিটিভি ফুটেজ দেখেও ধামাচাপা দেয় কর্তৃপক্ষ

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেটের ছোটমনি নিবাসে দুই মাস ১১ দিন বয়সি শিশু নাবিল আহমদকে আছাড় ও বালিশচাপায় হত্যার পরদিনই বিষয়টি জানতে পারে নিবাস কর্তৃপক্ষ। তারা সিসিটিভির ফুটেজও দেখে। কিন্তু এরপরও ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আয়াকে কঠোর নির্দেশ দেয়।

শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনটি জানিয়েছেন সোনামনি নিবাসের ঘাতক আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা। আদালত সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আয়া সুলতানা আদালতকে জানান, ২২ জুলাই রাত ১১টার দিকে ছোটমনি নিবাসে শিশু নাবিল কান্নাকাটি শুরু করলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে শিশু নাবিলকে মাথার উপর তুলে সজোরে পাশের বিছানায় আছাড় দেন এবং মুখের উপর বালিশচাপা দিয়ে চলে যান। পরদিন সকালে এসে দেখেন নাবিলের নড়াচড়া নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক (অতি: দা:) রুপন দেবসহ সংশ্লিষ্টদের জানান। তখন নাবিলকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, নাবিল অনেক আগেই মারা গেছে। নাবিলের লাশ নিয়ে এসে ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রুপন দেব, অফিস সহকারী শফিকুল ও নাজিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন। এরপরও বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তারা আয়াকে কঠোর নির্দেশ দেন। ওইদিনই সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ২৫ জুলাই তাকে শোকজও করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম