Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

সানেমের ওয়েবিনার

অবৈতনিক কাজে যুক্ত ৮১ শতাংশ নারী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেন

প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, উপযুক্ত আইন ও বিধিবিধানের মাধ্যমে পরিচর্যা খাতের স্বীকৃতি ও নারীদের মূলধারার শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অবৈতনিক পরিচর্যা কাজের স্বীকৃতি সম্পর্কে অবগত নয়। প্রধানমন্ত্রী ও সরকার সমস্যা সমাধানে কৌশলগতভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ইতিবাচক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে বাধ্যতামূলক তিনজন মহিলা সদস্য বা উপজেলা পর্যায়ে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির ৬০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ইত্যাদি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

‘নীতিনির্ধারণে কেয়ার ইকোনমির অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন। সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্মসচিব বেবী রানী কর্মকার, মহিলা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মুসলিমা মুন। ওয়েবিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা।

অবৈতনিক কাজে ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ নারীরাই যুক্ত। নারীদের অপ্রদর্শিত শ্রম অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে না। এ বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের যৌথ ওয়েবিনারে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে সায়মা হক বিদিশা বলেন, সন্তানদের বা বয়স্কদের দেখাশোনার অবৈতনিক কাজে ৮১ দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে বাড়ির নারীরাই যুক্ত থাকেন। ফলে তারা মূলধারার শ্রমবাজারে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারছেন না। যথাযথ নীতিনির্ধারণের মাধ্যমে নারীর অপ্রদর্শিত শ্রম ও শ্রমের বোঝা কমিয়ে তার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সৃষ্টি করা গেলে লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম