Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

ছয় ছাত্র হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর

আদালত থেকে পালালেন সাত আসামি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাভারের আমিনবাজারে ডাকাতের অপবাদে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান। একই সঙ্গে আগের পলাতক সাত আসামি ছাড়া জামিনে থাকা ৫১ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জামিন বাতিলের আদেশ পাওয়ার পরই জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে আরও সাতজন পালিয়ে গেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাকিলা জিয়াছমিন মিতু যুগান্তরকে বলেন, এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছি। ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুজন মারা যাওয়ায় বর্তমান আসামি ৫৮ জন। এর মধ্যে আগের পলাতক সাতজন ছাড়া জামিনে থাকা বাকি ৫১ আসামি এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। জামিন বাতিলের আদেশের পর আরও যে সাত আসামি পালিয়ে গেছেন তারা হলেন টোটন, শাহীন আহমেদ, মুজিবুর রহমান, শাজাহান আলী, নিহর, আমিন ও রহমান।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতে সাভারে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ছয় কলেজছাত্রকে। নিহতরা হলেন তৌহিদুর রহমান পলাশ, ইব্রাহিম খলিল, কামরুজ্জামান কান্ত, টিপু সুলতান, সিতাব জাবির মুনিব ও শামস রহিম শামীম। নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও পরে বেঁচে যান। ঘটনার পর কথিত ডাকাতির অভিযোগে বেঁচে যাওয়া আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় ডাকাতি মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক। ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। পুলিশ, সিআইডির হাত ঘুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ মামলার তদন্তভার র‌্যাবের হাতে দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে বলা হয়, আসামিরা নিরীহ ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে জখম করে। পরে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার ঘোষণা দেন ও থানায় মিথ্যা মামলা করেন। দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ হত্যা মামলায় ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম