Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

রিজার্ভ চুরির ৬ বছর

৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে অগ্রগতি নেই

ড. ফরাস উদ্দীনের প্রতিবেদনের আলোকে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে অগ্রগতি নেই

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ছয় বছর পেরিয়ে গেছে। এ নিয়ে করা মামলার অগ্রগতি হলেও সিআইডি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে বাকি ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার আদৌ পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এ অর্থ উদ্ধারের কোনো অগ্রগতি নেই। এমনকি অর্থ ফেরত পাওয়ার আশ্বাসও পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির প্রয়াস চালায় দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে বানান বিভ্রাটের কারণে রাউটিং ব্যাংকের সন্দেহ হলে শ্রীলংকামুখী ২ কোটি ডলার হাতিয়ে নিতে দুর্বৃত্তরা ব্যর্থ হয়।

বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) হয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা অর্থ হাতিয়ে নেয়।

ফিলিপাইনের বিভিন্ন ক্যাসিনোয় তারা ওই অর্থ ব্যয় করে। রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দীনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

এ কমিটি দীর্ঘ সময় কাজ করে একটি প্রতিবেদন দেয়। এ প্রতিবেদনের আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে-বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন নিরাপদ করা, সুইফটের নিরাপত্তা জোরদার ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ করা। এছাড়া আরও কিছু পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বিশ্বে ঝড় তুললে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজ থেকেই কিছু পদক্ষেপ নেয়।

এরমধ্যে রয়েছে-সাইবার সিকিউরিটি জোরদার করা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আলাদা সাইবার ইউনিট গঠন এবং সফটওয়ার নিরাপত্তায় শক্তিশালী ফায়ার ওয়াল তৈরি করা।

রিজার্ভ চুরি. ছয় বছর .

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম