Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বিআইজিডির সম্মেলন

অর্থনীতিতে সুসংবদ্ধ পরিবর্তন আনবে ডিজিটালকরণ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডিজিটালকরণের প্রাথমিক দিকে কিছু ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খল মনে হলেও অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থায় তা সুসংবদ্ধ পরিবর্তন আনতে পারে। বাংলাদেশসহ পুরো বিশ্বে ডিজিটালকরণ পরিবর্তনের ছোঁয়া আনছে। বিভিন্ন ধরনের যে ডিজিটাল সেবা পাওয়া যাচ্ছে, এতেই তা প্রমাণিত।

রাজধানী মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সোমবার বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ডিজিটালাইজেশন অ্যান্ড নিউ ফ্রন্টিয়ার্স অব সার্ভিস ডেলিভারি : অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক সম্মেলনটির আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক নীতির অধ্যাপক স্টেফান ডারকন, বাংলাদেশ সরকারের এটুআই কর্মসূচির পলিসি অ্যাডভাইজার অনির চৌধুরী প্রমুখ।

বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার উন্নতি এবং উন্নয়নের ফলাফল ও পদ্ধতিকে দৃঢ় করতে ডিজিটালকরণের বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের জন্য একটি অর্থবহ, গুরুত্বপূর্ণ ও রূপান্তরযোগ্য ডিজিটালকরণ কর্মপদ্ধতি প্রদান করতে হলে আমাদের প্রয়োজন শিক্ষা ও জ্ঞানকেন্দ্রিক শক্তিশালী একটি কার্যসূচি।

অধ্যাপক স্টেফান ডারকন বলেন, ডিজিটাল রূপান্তর কেবল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রেই নয়, পণ্য ও সেবার উৎপাদন, মূলধন বিনিময়, উৎপাদন ও বিতরণ সংশ্লিষ্ট ব্যাপারেও পরিবর্তন আনতে পারে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনা ও পরিবহণে ডিজিটালকরণের ফলে আরএমজি খাতে উল্লেখযোগ্য লাভ হয়েছে। অনির চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ১০টি ডিজিটাল পরিষেবা দিয়ে শুরু করেছিল এবং এখন তা দেড় হাজারে দাঁড়িয়েছে। শুরুর দিকে মাত্র দুটি পরিষেবা কেন্দ্র ছিল। এখন এর সংখ্যা সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮ হাজার ২০০। তিনি বলেন, সরকার অনেক মানুষের জন্য সময় ও খরচ কমাতে ডিজিটালাইজেশনের সঙ্গে পরিষেবার সমন্বয়ে অনেক উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নিয়েছে। যাদের কাছে ইন্টারনেট নেই এবং সরকারি সেবা সম্পর্কে তথ্য পেতে ভুগতে হয়, তাদের জন্য ৩৩৩ চালু করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে রিপোর্ট করতে মানুষ এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা শুরু করেছিল যা অনেক মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম