জবি ছাত্রলীগ
সম্পাদকের বিরুদ্ধে নেত্রীর কুপ্রস্তাবের অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে সংগঠনটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফৌজিয়া জাফরিন প্রিয়ন্তী গুরুতর অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার রাতে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে বিস্তর অভিযোগ আনেন প্রিয়ন্তী।
প্রিয়ন্তী লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ৭ বছর তার পিছনে হেঁটেছি। আমার মাদারীপুরের তিনজন ক্যান্ডিডেট ছিল। কিন্তু তার মধ্যে তাকে বেছে নিয়েছিলাম নেতা হিসাবে। সেজন্য বাকি দুজন ভাই আমার প্রতি অনেক মনোক্ষুণ্ন্ন হন। রাজনীতিতে জায়গা পালটানো শিখিনি। রাব্বানী ভাই সাবেক হওয়ার পরে এই লোককে আমি আমার এলাকায় সদর নিয়ে গিয়ে আমাদের মেয়রের সাথে সর্বপ্রথম আমিই পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। আমার রাজনৈতিক যত ভাই ছিল সবার কাছে বলছি আমি ভাইয়ের সাথে রাজনীতি করি, মাদারীপুর থেকে নেতা হলে মাদারীপুরের ছোট ভাইরা ভালো থাকব। আরও এমন কত কিছু করছি যা যা লিখে বলা সম্ভব না। আল্লাহ মনের আশা পূরণ করল। এরপরই থেকে আকতার ভাইয়ের আসল রূপ বের হতে থাকল।
লেখক দাদার বাসা থেকে যেদিন ফুল দিয়ে নিচে নামলাম তার সাথে সেদিন সে সব নেতার সামনে বসে আমাকে আর জিনিয়া আফ্রিনকে উদ্দেশ করে বললেন, ‘কোনো হাই কমান্ডের ফোনে সে হল কমিটি দিবে না। দরকার হয় সে সাবেক হয়ে যাবে সে নেতা হয়ে গেছে তার নামের আগে সাবেক লেখা থাকবে তার সমস্যা নেই। আগে তার কর্মী হতে হবে। তাকে নেতা মেনে ধারণ করতে হবে তবেই সেই হলের নেত্রী বানাবে।’
আমরা অবাক হয়ে রইলাম হলের কথা কই থেকে এলো, নেতা হলো ১০ দিন মাত্র তখন। সেদিনের পর থেকে তার বিভিন্ন আবদার রাখতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তার সাথে আমার দীর্ঘ ৭ বছরের রাজনীতিকে সে মুহূর্তেই অস্বীকার করেছেন। এমনকি সে আমার ছোটবোনদের বলে দিয়েছেন আমাকে সালাম দিলে পদ পাবে না তারা। আমার অপরাধ ছিল আমি তার কুপ্রস্তাব মেনে নেইনি।
ভেঙে গেল ৭ বছরের ভাই-বোনের সম্পর্ক। একমাত্র ছাত্রী হলে ছাত্রলীগ থেকে তিনশ বেশির মেয়ে হলে সিট পেলেও আমাকে সে হলে উঠতে দেয়নি। আমার জন্য তার অনেক বড় ভাইরা বললেও সে তা কানে তোলেনি কারণ আমাকে তো এখন প্রয়োজন নেই কর্মী হিসেবে, এখন সে নেতা তার প্রয়োজন মেটাতে পারলেই কেবল সে প্রয়োজনবোধ করবেন। বাংলাদেশের এমন কোন হল আছে কি যেখানে কোনো গেস্ট গিয়ে একদিন থাকতে পারে না। কিন্তু এই আমি প্রিয়ন্তী হলে একদিন গিয়েছিলাম দেখতে হলে থাকার কেমন অনুভূতি কিন্তু এই আকতার জানতে পেরে প্রভোস্টকে চাপ দিয়ে সেই রাতেই আমাকে হল থেকে বের হতে বাধ্য করে।
‘আমার কী অপরাধ ছিল? আজ আপনারা তার কর্মী হিসেবে দাবি করে কমেন্ট করতেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এই আমার চাইতে বেশি রাজনীতি আপনারা তার সাথে করেন নাই আর বেশি শ্রমও দেন নাই। সুতরাং আমার সাথে সে যা করছে সেগুলো আপনাদের সঙ্গে হবে না এটার কিন্তু কোনো শিউরিটি নেই। আমার মতো বহু দুঃসময়ের ভাইদের সাথেও সে বেইমানি করছে, সে অকৃতজ্ঞ, সে বেইমান।’এদিকে প্রিয়ন্তীর ফেসবুক টাইমলাইনে অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসেন কোনো সাড়া দেননি।