ঢাকা ও কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রথমদিনই দুই শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে একটি উদ্দীপকে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার মতো কথামালাযুক্ত প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। আর কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নে ‘পীর’ সংক্রান্ত শব্দগত দিক জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষা প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রোববার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন যারা যুক্ত করেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, এইচএসসির ৯টি শিক্ষা বোর্ডই চারটি করে সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করে। কিন্তু কোনো বোর্ডই নিজের প্রশ্নে পরীক্ষা নেয় না। বাকি ৮টি বোর্ডের প্রশ্নপত্র লটারি করে সেখান থেকে চারটি করে সেট নেয় প্রতিটি বোর্ড। কিন্তু দুই সেট ছাপে আর বাকি দুই সেট রেখে দেয়। যে দুই সেট প্রশ্ন ছাপে বিজি প্রেস, তা সরাসরি ট্রেজারিতে নিয়ে রাখা হয়। কিন্তু প্যাকেটে প্রশ্নপত্র রচনাকারী (সেটার) ও পরিশোধনকারীর (মডারেটর) নাম থাকে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, ‘কাল আমরা ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র আনব। এনে দেখব কে প্রশ্ন সেট করেছেন আর কে মডারেশন করেছেন। এরপর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই প্রশ্ন আমাদের নয়। কোন বোর্ডের, সেটাও কাল জানা যাবে।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো এমন উসকানিমূলক প্রশ্নপত্র সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া থাকে যে কী কী বিষয় মাথায় রেখে প্রশ্নগুলো তারা করবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোনো ধরনের যেন সাম্প্রদায়িকতার কোনো কিছু না থাকে, সেটিও নির্দেশিকায় আছে। খুবই দুঃখজনক যে, কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো এ প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনো কারণে এড়িয়ে গেছে বা তিনিও হয়তো এটা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন।’ প্রশ্নটি কোন ‘সেটার’ বা ‘মডারেটর’ করেছেন, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। কারণ বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এ দেশে এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা আমরা চিহ্নিত করছি।’
