পাসপোর্টে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুতে কড়াকড়ি
jugantor
পাসপোর্টে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুতে কড়াকড়ি

  যুগান্তর প্রতিবেদন  

০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০:০০  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পাসপোর্টের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো পাসপোর্টের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে একই পাসপোর্টে আগে ইস্যু করা বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আগে ইস্যু করা বৈদেশিক মুদ্রার মধ্যে গ্রাহক কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে তা দেখে তারপর ডলার ইস্যু করতে হবে। বছরে কোনো গ্রাহক ভ্রমণ খাতে যাতে ১ হাজার ২০০ ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিতে না পারেন সে বিষয়টি মনিটরিং করতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানানোর জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ভ্রমণ খাতে বছরে ১ হাজার ২০০ ডলার খরচ করার সুযোগ রয়েছে। একাধিকবার ভ্রমণে গেলেও এর বেশি ডলার পাওয়া যাবে না। কিন্তু কোনো কোনো গ্রাহক বছরে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে কোটার অতিরিক্ত ডলার খরচ করছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে ধরা পড়েছে। এছাড়া একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ ডলার ইস্যু করে বিদেশে নিয়ে খরচ কম করে বাকি ডলার দেশে নিয়ে আসছেন। কিন্তু আসার সময় বিমান বা স্থলবন্দরে কাস্টমস ফর্মে ফেরত আনা ডলার সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দিচ্ছেন না। ফলে ওইসব ডলার গ্রাহকের কাছে থেকে যাচ্ছে বেআইনি হিসাবে। ওই ফর্মে ডলার ফেরতের ঘোষণা না দিলে ব্যাংক ধরে নেয় গ্রাহক পুরো ডলারই খরচ করেছে। ফলে একই বছরে দ্বিতীয় দফায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে গ্রাহক নতুন করে আর কোনো ডলার পাচ্ছেন না। এছাড়া খরচ না হওয়া ডলার বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অনেকে সেগুলো কার্ব মার্কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব প্রবণতা ঠেকাতে ও ডলার পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই খাতে তদারকি জোরদার করেছে। সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ভ্রমণ কোটায় বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে পাসপোর্টের পাতায় আগে ইস্যু করা ডলার বা অন্য মুদ্রা সম্পর্কে তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের পরিমাণ সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে। ব্যাংক থেকে যেসব ডলার ইস্যু করা হয় সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম থেকে এবং আন্তর্জাতিক মানের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করা বৈদেশিক মুদ্রার তথ্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড মনিটরিং সিস্টেম থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে। মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিলে সেগুলোও অনলাইন মানি চেঞ্জার্স মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে তদারকি করা যাবে। গ্রাহক যদি নতুন পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাহলে আগের পাসপোর্টের নম্বর সংগ্রহ করে একই বছরে ব্যয় করা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। কোনোক্রমেই একই বছরে কোটার অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে না।

পাসপোর্টে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুতে কড়াকড়ি

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম  |  প্রিন্ট সংস্করণ

পাসপোর্টের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কোনো পাসপোর্টের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে একই পাসপোর্টে আগে ইস্যু করা বৈদেশিক মুদ্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আগে ইস্যু করা বৈদেশিক মুদ্রার মধ্যে গ্রাহক কী পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে তা দেখে তারপর ডলার ইস্যু করতে হবে। বছরে কোনো গ্রাহক ভ্রমণ খাতে যাতে ১ হাজার ২০০ ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা নিতে না পারেন সে বিষয়টি মনিটরিং করতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানানোর জন্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ভ্রমণ খাতে বছরে ১ হাজার ২০০ ডলার খরচ করার সুযোগ রয়েছে। একাধিকবার ভ্রমণে গেলেও এর বেশি ডলার পাওয়া যাবে না। কিন্তু কোনো কোনো গ্রাহক বছরে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে কোটার অতিরিক্ত ডলার খরচ করছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকিতে ধরা পড়েছে। এছাড়া একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ ডলার ইস্যু করে বিদেশে নিয়ে খরচ কম করে বাকি ডলার দেশে নিয়ে আসছেন। কিন্তু আসার সময় বিমান বা স্থলবন্দরে কাস্টমস ফর্মে ফেরত আনা ডলার সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দিচ্ছেন না। ফলে ওইসব ডলার গ্রাহকের কাছে থেকে যাচ্ছে বেআইনি হিসাবে। ওই ফর্মে ডলার ফেরতের ঘোষণা না দিলে ব্যাংক ধরে নেয় গ্রাহক পুরো ডলারই খরচ করেছে। ফলে একই বছরে দ্বিতীয় দফায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে গ্রাহক নতুন করে আর কোনো ডলার পাচ্ছেন না। এছাড়া খরচ না হওয়া ডলার বিভিন্ন মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অনেকে সেগুলো কার্ব মার্কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এসব প্রবণতা ঠেকাতে ও ডলার পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই খাতে তদারকি জোরদার করেছে। সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে ভ্রমণ কোটায় বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যুর ক্ষেত্রে পাসপোর্টের পাতায় আগে ইস্যু করা ডলার বা অন্য মুদ্রা সম্পর্কে তথ্য যাচাই করে নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রাহকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের পরিমাণ সম্পর্কেও নিশ্চিত হতে হবে। ব্যাংক থেকে যেসব ডলার ইস্যু করা হয় সেগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম থেকে এবং আন্তর্জাতিক মানের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করা বৈদেশিক মুদ্রার তথ্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ড মনিটরিং সিস্টেম থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে। মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বৈদেশিক মুদ্রা নিলে সেগুলোও অনলাইন মানি চেঞ্জার্স মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে তদারকি করা যাবে। গ্রাহক যদি নতুন পাসপোর্ট ব্যবহার করেন তাহলে আগের পাসপোর্টের নম্বর সংগ্রহ করে একই বছরে ব্যয় করা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। কোনোক্রমেই একই বছরে কোটার অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা ইস্যু করা যাবে না।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন