Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

দোহার ও নবাবগঞ্জে লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় রাত আর দিন নেই সমানতালে চলছে লোডশেডিং। বিশেষ করে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় ও রাতে থাকছে না বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। এছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিদ্যুৎ নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি চার্জার ফ্যান কেনায় ইলেকট্রনিকস দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, নবাবগঞ্জ সদর অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে দোহার ও নবাবগঞ্জে বিদ্যুৎ চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু সে তুলনায় বরাদ্দ পায় ৩০/৪০ মেগাওয়াট। যেখানে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় এক লাখ বিশ হাজার। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে স্থানীয় এজেন্ট ব্যাংক, এনজিও অফিস, ফটোকপি ও সাইবার ক্যাফেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকছে। এতে করে গ্রামীণ জনপদের লোকজন তাদের আর্থিক লেনদেনসহ অতি প্রয়োজনীয় কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের

কম্পিউটার ল্যাব বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না।

এদিকে লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণে ব্যাটারিচালিত ফ্যান ক্রয়ে ইলেকট্রিক পণ্যের দোকানে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাগমারা বাজারের ইলেকট্রিক পণ্যে ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, প্রচণ্ড গরমে মানুষ টিকতে পারছে না। ফলে বিদ্যুৎ বিহীন ব্যাটারিচালিত চার্জার ফ্যানের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা মোকসেদা বেগম বলেন, রাত দিনে প্রায় ৮/১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। ফলে ফ্রিজে রাখা বিভিন্ন খাদ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মজিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুতের বরাদ্দ কম থাকায় সারা দেশের ন্যায় দোহার ও নবাবগঞ্জে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম