Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

আ.লীগের সম্পাদকের নামে মাদক ভূমিদস্যুতাসহ নানা অভিযোগ

কেরানীগঞ্জে সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেম্বার সেলিম ব্যাপারীর বিরুদ্ধে মাদক, ভূমিদস্যুতা, মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদশা ও তার দুই ভাগনেকে গুরুতর জখম করেছে। সাজ্জাদ ও শাহাদাত নামের দুই সহোদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও অধরা সেলিম ব্যাপারী। হামলার প্রতিবাদ ও সেলিম ব্যাপারীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আমিনুর রহমান। বৃহস্পতিবার বেয়ারা বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদশার অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মাতবর বাবুল সওদাগর, আ.লীগ নেতা আসাদ মিয়া, থানা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি রুনা বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর রহমান বলেন, সেলিম ব্যাপারী নব্য আওয়ামী লীগার। এক সময় বিএনপি করলেও সে হাইব্রিড হিসাবে দলে ঢুকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক হয়েছে। সে এই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। মাদক, ভূমিদস্যুতা, লোকজনকে মারধর করা এগুলোই তার পেশা। ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, ২৮ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে বেয়ার বাজারে সরকারি জমিতে দোকানপাট নির্মাণ করতে আসে। খবরটি শোনার পর জনপ্রতিনিধি হিসাবে সরকারি জায়গায় দোকান নির্মাণে সেলিম ব্যাপারীকে বাধা দিলে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সে চলে যায়। বেয়ারা বাজারে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশে আমার ব্যক্তিগত অফিসে থাকা অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেলিমের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা, লোহার রড, পাইপ, ছুরিচাকু নিয়ে হামলা করে। তিনি আরও বলেন, আমাকে মারধর করার সময় সেখানে উপস্থিত দুই ভাগনে বাধা দিলে ওদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। মাথার হাড় ভেঙে গেছে, নাক ফেটেছে, ঠোঁট কেটেছে, দাত ভেঙেছে। দুজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি। দ্রুত তাকে গ্রেফতারের দাবি জানাই। সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগের বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সেলিম ব্যাপারী বলেন, আমি এখন কোর্টে আছি। পরে কথা বলব। এরপর তিনি লাইন কেটে দেন। পরে তাকে কল দিলেও রিসিভ করেননি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম