সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট : আওয়ামী লীগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রস্তাবিত বাজেটকে সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট হিসাবে আখ্যায়িত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলটির নেতারা বলেন, এ বাজেট জনবান্ধব। করোনা পরবর্তী প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে সৃষ্ট সংকটে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করেই বাজেট করা হয়েছে। এই বাজেট অবশ্যই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেও মনে করেন তারা। এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রস্তাবিত বাজেটে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে, মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে জনবান্ধব বলার কারণ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনবান্ধব এ জন্য বলেছি, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেটটা প্রণীত হয়েছে। এই বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত যুগান্তরকে বলেন, করোনা ও যুদ্ধের আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ছিল না। নিয়ন্ত্রণে ছিল। জ্বালানির সংকট ছিল না। লোডশেডিং ছিল না। রিজার্ভ ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সবকিছু ইতিবাচক ছিল। কিন্তু করোনা ও যুদ্ধ আসার পরে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ এলো। এর মূল কারণ বৈশ্বিক বাস্তবতা। এর ফলে সমস্যাগুলো সৃষ্টি হয়েছে। কোভিডের আগ পর্যন্ত ১২-১৩ বছর কিন্তু বাংলাদেশের ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে আমরা এক নম্বরে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছি। ফলে এ সমস্যাগুলোর কারণে এখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু এই ধারাবাহিক উন্নয়ন না হলে এখন ঝড় উঠত। তিনি আরও বলেন, সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই বাজেট তৈরি করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে কম সুবিধাভোগী মানুষদের কথা বিবেচনা করেই এই বাজেট করা হয়েছে। এ বাজেট অবশ্যই আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বলেও মনে করেন তিনি।
স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল : বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এতে সংগঠনের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণমুখী বাজেট দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান বক্তারা। অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগও আনন্দ মিছিল করে। মিছিলটি ধানমন্ডি ৩/এ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি-২৭ এ গিয়ে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএ মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।
বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে কৃষক লীগ। এতে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা অংশ নেন। রাজধানীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সভাপতি সাইদুর রহমান সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নষ্কর, কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক, সহসভাপতি মোহাম্মদ আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক প্রমুখ। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের হয়ে আশপাশের সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফের সেখানেই শেষ হয়। আনন্দ মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু এতে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। আনন্দ মিছিল করেছে যুবলীগ। এতে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী প্রমুখ। আনন্দ মিছিল করেছে ছাত্রলীগ। এতে অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ কেন্দ্রীয় ও নগর নেতারা। আনন্দ মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
