Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে: ওবায়দুল কাদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আগুন-সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের লালনপালন এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। এসব সন্ত্রাসীবাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন করে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই গণমাধ্যমের সামনে তারা ‘বিরোধী দল দমন’-এর বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে চলে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। এটাই সর্বজনীন নীতি। তিনি বলেন, বিএনপি একদিকে তাদের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দেয়, ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিরোধী দল দমনের তথাকথিত অভিযোগ তোলে। একদিকে তারা গণতন্ত্রে আস্থা না রেখে নির্বাচন বানচাল এবং নির্বাচনিব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করে, অন্যদিকে সরকারের ওপর তারা দোষ চাপায়। তাদের এই দ্বিচারিতাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং বিকাশের প্রধান অন্তরায়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল খালি মাঠে গোল দেওয়ার কথা বলেছেন! অথচ তার মনে রাখা উচিত, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাত দশকের বেশি সময় দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সামরিক স্বৈরাচারদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাকে অক্ষুণ্ন রেখেছে। আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সর্বদা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র অথবা পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেনি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুলের কাছে যদি প্রশ্ন করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিকাশে বিএনপি কি কখনো কোনো ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল? বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রহসনের হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন, ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০০৬ সালে তাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা’র অপমৃত্যু ঘটানো, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাব, ইনশাআল্লাহ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম