Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

আটকে পড়াদের বাঁচার আকুতি

শ্যামলীতে ২০ তলা ভবনে আগুন

ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শ্যামলী সিনেমা হলের পাশে রূপায়ণ শেলটেক নামের ২০ তলা ভবনের সপ্তমতলায় আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার একটু আগে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ তলার ওপরে অনেকে আটকা পড়েন। তারা জানালা দিয়ে হাত বের করে সাহায্য চাইতে থাকেন। কেউ কেউ চিৎকার করে কিংবা মুঠোফোনে উদ্ধারের আকুতি জানান। আগুন নেভাতে ও আটকাপড়াদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট কাজ শুরু করে। রাত পৌনে দুইটা পর্যন্ত তারা ২৩ জনকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন। এর মধ্যে টার্ন টেবল লেডার (টিটিএল) দিয়ে অন্তত ছয়জনকে নামানো হয়। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, রাত ২টা ৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তারা আগুন লাগার সংবাদ পান। ১০ মিনিটের মাথায় তদের প্রথম ইউনিট সেখানে পৌঁছায়। এরপর একে একে অন্য ইউনিটগুলোও আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত হতে থাকে। তারা জানালার কাচ ভেঙে ভেতর থেকে আটকা পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তীব্র ধোঁয়ার মধ্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। তবে একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ধোঁয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে তাদের বেগ পেতে হয়।

স্থানীয়রা জানান, ভবনটির নিচে মার্কেট ও দোকান রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চমতলায় ইসলাম ডায়াগনস্টিক ল্যাব এবং ঢাকা ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হসপিটাল নামের দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর ওপরে রয়েছে নুরজাহান অর্থোপেডিক অ্যান্ড জেনারেল হসপিটাল। তার ওপরের তলায় রয়েছে এসবিএফ ডায়ালাইসিস সেন্টার। এরপর রয়েছে ইউনাইটেড ফাইন্যান্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের ১৮ তলার ওপরে আটকা পড়েছেন অনেকে। ভবনের ওপর দিকে বিভিন্ন ইউনিটের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ওপরের তলার বাসিন্দারা মোবাইল দিয়ে, হাত বের করে অথবা চিৎকার করে সাহায্য প্রার্থনা করছেন। খবর পেয়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভবনের নিচে জড়ো হন স্বজন ও স্থানীয়রা। এ সময় স্বজনদের অনেককে কান্না করতে দেখা যায়। অনেকে মোবাইলের মাধ্যমে আটকে পড়াদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিতে থাকেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম