Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

আইএটিএ’র প্রতিবেদন

বিদেশি এয়ারলাইন্সের আড়াই হাজার কোটি টাকা আটকা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর ২ হাজার ৩০৪ কোটি টাকার বেশি বাংলাদেশে আটকা পড়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও কয়েকটি দেশে বিপুল অঙ্কের অর্থ আটকা পড়েছে। এ কারণে এয়ারলাইন্সগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ঝুঁকির মুখে পড়ছে। রোববার প্রকাশিত এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে অর্থ আটকে থাকার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, আটকে থাকা অর্থের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। এ কারণে ভুক্তভোগী বিমান সংস্থাগুলো নির্বিঘ্নে তাদের বিমানসেবা পরিচালনা করতে পারছে না। আইএটিএ বলেছে, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া অর্থের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে এই অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) থাকলেও ২০২৩ সালের এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি (২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার)।

অর্থ আটকা পড়েছে এমন শীর্ষ পাঁচটি দেশের নাম প্রকাশ করেছে আইএটিএ। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২১৪ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার (২ হাজার ৩০৪ কোটি টাকার বেশি) আটকে পড়েছে। আর নাইজেরিয়ায় ৮১২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, আলজেরিয়ায় ১৯৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে ১৮৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার এবং লেবাননে ১৪১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার আটকা পড়েছে। বিশ্বজুড়ে যত অর্থ আটকা রয়েছে তার ৬৮ শতাংশই ওই পাঁচ দেশে।

এ সম্পর্কে আইএটিএ’র মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের কাজ করা দরকার, যাতে এয়ারলাইন্সগুলো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারকে আন্তর্জাতিক চুক্তি ও চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাধারণত বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করে থাকে। টিকিট বিক্রির অর্থের একটি অংশ কমিশন হিসাবে পান স্থানীয় এজেন্টরা। কমিশন রেখে বাকি অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে ডলারে বিদেশি এয়ারলাইন্সের কাছে পাঠায় এজেন্টরা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় টিকিট বিক্রির অর্থ বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পাঠাতে পারছে না স্থানীয় এজেন্টরা। কবে নাগাদ এই সংকটের সমাধান হবে, সেই বিষয়েও কোনো তথ্য সংশ্লিষ্টদের কাছে নেই।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম