Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

৮ মাসে ধর্ষণের শিকার ৪৯৩ মেয়েশিশু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে ৮ মাসে ৪৯৩ জন মেয়েশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে ১০১ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার ৩২২ জন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ৭২ ও প্রতিবন্ধী মেয়েশিশু রয়েছে ৩৯ জন। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৭০ জন মেয়েশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই সময়কালে মোট ৩২৯ জন মেয়েশিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে ৩০ জন।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারি সংস্থা জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং প্রকাশনা গ্রন্থের মোড়ক উšে§াচন’ অনুষ্ঠানে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এই সময়ে অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ২ জন, অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ১০৪ জন মেয়েশিশু। এর মধ্যে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ২৬০ জন আর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে ২১টি। বাল্যবিয়ে হয়েছে কিন্তু অভিভাবকরা স্বীকারোক্তি দেয়নি এমন আছে ১ হাজার ৫২৫ জন। এ ছাড়া মেয়েশিশুদের নির্যাতনের বিভিন্ন পর্যায়ের চিত্র তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে ৯টি সুপারিশও করেছে অ্যাডভোকেসি ফোরাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফোরামের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা যদি আমাদের করণীয় নির্ধারণ এবং সেই লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি, তাহলে নারী ও মেয়েশিশুদের ওপর নির্যাতন কমিয়ে আনা যাবে।

আরও বক্তব্য দেন, আয়োজন সহযোগী সংগঠন গুড নেইবারস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাঈনুদ্দিন মাইনুল, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের হেলথ অ্যান্ড নিউট্রেশন সেক্টরের কর্মকর্তা ড. লিমা রহমান, চাইল্ড রাইটস স্পেশালিস্ট অ্যান্ড অ্যাক্টিভিস্ট টনি মাইকেল গোমেজ, এডুকো বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি প্রমুখ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম