গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ ও পদযাত্রায় মান্না
পাঁচ মাস পর দেশে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকার লুটপাট করে ব্যাংক ও কোষাগার খালি করে দিয়েছে। বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এদেশ শ্রীলংকায় পরিণত হবে। বর্তমানে দেশের রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। তিন মাস পর ঋণ পরিশোধ করে খাদ্য আমদানি করতে পারবে না সরকার। পাঁচ মাস পর এদেশে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে। বুধবার বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দমন, নিপীড়ন, গ্রেফতার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে নাগরিকের ভোটের অধিকার থাকতে হবে। বর্তমান সরকার এ অধিকার নষ্ট করে দিয়েছে।
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা তো জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে চান। বাংলাদেশের মানুষ নাকি আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ গণতান্ত্রিক বিশ্ব বলে মানুষ যাদের চেনে, তারা সবাই এ সরকারের ওপর অনাস্থা জানিয়েছে। এ কারণেই নির্বাচনের ৩-৪ মাস আগেই ভিসানীতি কার্যকর করা হয়েছে। তার মানে কী? তারা আগেই বুঝতে পেরেছে, এই সরকার আবার একটা একতরফা নীল নকশার সাজানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। আর এই খেলা বন্ধ করার জন্যই তারা তাদের কাজ করছে। আর আমরা রাজপথে আছি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি সরকারের উদ্দেশে বলেন, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও সভা-সমাবেশের অধিকার কেড়ে নিয়ে যখন বিশ্বের কাছে মাথা হেট করেছেন, তখন বলেন সবাই মিলে সরকারকে সমর্থন করতে। তখন জাতীয়তাবাদের ধ্বজা তোলেন। আপনাদের এই ভন্ডামি আর ধোঁকা মানুষ গ্রহণ করবে না।
জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সমাবেশ ও পদযাত্রায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুলাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতাকর্মীরা।
