১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান ছেলের
গামছায় মুখ ঢেকে বাবার হাত-পা টুকরো করি
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
এমনিতেই জন্মের পর থেকে খোঁজখবর নেননি। ২৭-২৮ বছর পর ফিরে এসে সন্তান হিসাবে আমাদের অস্বীকার করেন। তার ওপর বসবাসের যে ভিটা-বাড়ি, সেটাও বাইরে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে গলা টিপে ধরলে বাবা মারা যান। আমি আর ছোট ভাই মিলে বাবার লাশ টুকরো করে ট্রলি ব্যাগ ও বস্তায় ভরে বাইরে নিয়ে গুম করার চেষ্টা করি। নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের বাসায় সংঘটিত হাসান আলী হত্যা মামলায় তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বাবাকে হত্যা ও লাশ গুম চেষ্টার গা শিউরে ওঠা বর্ণনা দেন। বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে মোস্তাফিজ এই জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালাত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিদর্শক ইলিয়াস হোসেন মোস্তাফিজের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন। বাবার চেহারা দেখলে খারাপ লাগবে তাই তাই চেহারা গামছায় ঢেকে ধামা দিয়ে শরীর থেকে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে আট টুকরো করে বলে জানায়। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে পতেঙ্গা থানার বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেট এলাকার একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে মানবদেহের আটটি খণ্ড উদ্ধার করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের এএসপি একেএম মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। ভিকটিমের মাথা ও শরীরের কিছু অংশ ছিল না। ট্রলিব্যাগে ছিল মানবদেহের দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে ঊরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার এসআই আব্দুল কাদির এক বা একাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। মানবদেহের ৮টি টুকরো উদ্ধারের পর এসপি নাইমা সুলতানার নির্দেশে ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত করতে গিয়ে হতভাগ্য ওই ব্যক্তির পরিচয় উদঘাটন করে। পাশাপাশি নিজের সন্তানরাই যে বাঁশখালীর হাসান আলীর হত্যাকারী, সেটা নিশ্চিত হয়। গ্রেফতার করা হয় হতভাগ্য হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে। ছোট ছেলে সফিকুর রহমান জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী আনার কলি পলাতক রয়েছে।
