Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস আজ

সচেতনতাই ঠেকাতে পারে এই রোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রাণী থেকে মানুষ ও প্রাণীতে সংক্রমিত হতে পারে মরণব্যাধি জলাতঙ্ক। সাধারণত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ে বেশি সংক্রমিত হয় এই রোগ। তবে বিড়াল, বানর, বেজি, বাদুড় এবং শিয়ালের কামড় বা আঁচড়েও ছড়াতে পারে। এর রোগে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে এক যুগ আগেও বছরে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর পরিসংখ্যান রয়েছে। সম্প্রতি এ রোগে মৃত্যু কমেছে। অথচ জলাতঙ্ক শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কুকুর, বিড়াল, বানর, বেজি অথবা শিয়াল কামড় বা আঁচড় দেয় সঙ্গে সঙ্গে সাবান পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ১৫ মিনিট ধৌত করতে হবে। এরপর যথাসময়ে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ফরাসি অণুজীববিদ লুইপাস্তুর ১৮৮৫ সালে সর্বপ্রথম জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেন। অসামান্য এই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর র‌্যাবিস কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যু দিবসে (২৮ সেপ্টেম্বরকে) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ রোগের ভয়াবহতা উপলব্ধি, প্রতিরোধ ও নির্মূলের লক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশেও প্রতিবছর ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হয়। ‘জলাতঙ্কের অবসান, সকলে মিলে সমাধান’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এবার বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে সরকারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেমিনার, মুক্ত আলোচনা, জনসচেতনতা কার্যক্রম ইত্যাদি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকার জলাতঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হিসাবে গ্রহণ করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রাণিসম্পদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১১-১২ সাল থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরুর পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

সরকারের নানাবিধ কার্যক্রমের ফলেই জলাতঙ্ক রোগের সংক্রমণ কমে এসেছে। জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল পর্যায়ে ৩৩৮টির অধিক জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া রাজধানীর মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও ৫টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে জলাতঙ্কের আধুনিক চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম