Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

তীব্র গরমের প্রভাব

দোহার-নবাবগঞ্জে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর উপচে পড়া ভিড়

Icon

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালের জ্বর হাঁচি কাশি শরীর ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে রোগীর সংখ্যা। সোমবার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, একই চিত্র। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য সময় প্রতিদিন গড়ে বিভিন্ন উপসর্গের রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চারশ। কিন্তু গরমের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এখন প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচশ থেকে ছয়শতে বেশি বহির্বিভাগে রোগীর আসছে। হাসপাতালের আন্তর্বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ রোগী ভর্তি থাকছে। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপজেলা সদরে অবস্থিত মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, সেতু ক্লিনিক, প্যারাগন হাসপাতাল অ্যান্ড ট্রমা সেন্টার, আশা ক্লিনিক, নিউ লাইফ হাসপাতাল, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, হলি কেয়ার হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, একই চিত্র। আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার গুণগত মান বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ এবং আনুপাতিক হারে চিকিৎসকদের উপস্থিতি বৃদ্ধির কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে ও ক্লিনিকে আসা বিভিন্ন রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তীব্র গরমে শরীরের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে জ্বর হাঁচি কাশি ঠান্ডা শরীর ব্যথাসহ উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার শহিদুল ইসলাম বলেন আমরা যেহেতু এই আবহাওয়ার সঙ্গে অভ্যস্থ নই। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব প্রকার সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যে কোন সময় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের জন্য হাসপাতালে আসার আহ্বান জানান।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম