Logo
Logo
×

খেলা

বাফুফের শুভঙ্করের ফাঁকি!

Icon

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আর্থিক অনিয়ম নতুন নয়। আইএফআইসি ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা ঋণ, বিদেশি দলকে টাকা না দেয়ার ঘটনা পুরনো। রেফারিরা সম্মানী পান সমান্য। সেই সম্মানীও বছরের পর বছর বকেয়া থাকে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার পর বাফুফে বিশ লাখ টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে রেফারিদের। কিন্তু সেখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বাফুফেকে দশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। সেই টাকার হিসাব ঠিকমতো দিতে পারেনি বাফুফে। এজন্য দশ কোটি টাকার দ্বিতীয় কিস্তি আটকে আছে। পরের দশ কোটি টাকা ছাড়ানোর জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও পাইওনিয়ার ফুটবল লিগে রেফারিদের ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে ফেডারেশন। অনেক রেফারির বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি। অর্থাভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রেফারি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘২০০ দরিদ্র মানুষকে একবেলা খাবার সরবরাহ করছে বাফুফে। তাদের এ কার্যক্রম করোনাভাইরাসের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলবে। বাফুফের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে ফিফা। আমাদের অভুক্ত রেখে এভাবে বাহবা নেয়া দৃষ্টিকটু। মিডিয়ায় লেখালেখি হলে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দেন কর্তারা। কিন্তু পরে আর বকেয়া দেন না।’ রেফারিদের পাওনা কোটি টাকা। অথচ, দু’টি টুর্নামেন্ট ও লিগের রেফারিদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে মাত্র ২০ লাখ টাকা। বাকিদের পাওনা পরিশোধ হবে কি না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রাইজমানি আর স্থানীয় রেফারিদের পাওনা বকেয়া শুধু নয়, ওই আসরে দায়িত্ব পালন করা বিদেশি রেফারিরাও এখনও তাদের পাওনা বুঝে পাননি। বাংলাদেশ রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই বিব্রতকর। নিজেরা অর্থ পাই না। কষ্ট করে থাকি। বিদেশি রেফারিরা যখন পাওনার কথা বলে, তখন লজ্জা লুকানোর উপায় থাকে না।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম