যুব গেমসের বিভাগীয় পর্বে তিন হাজার ক্রীড়াবিদ
স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘বাংলাদেশ যুব গেমস নতুন এক মাইলফলক। এ উদ্যোগে দেশের তরুণ ক্রীড়াবিদরা ভবিষ্যতে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ তৈরি করতে পারবে। এ গেমস আয়োজনের জন্য আমি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ) ধন্যবাদ জানাই’, এক ভিডিওবার্তায় কথাগুলো বলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। প্রথম বাংলাদেশ যুব গেমসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এ তারকা ক্রিকেটারকে মনোনীত করেছে বিওএ। দেশের ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচির জন্য মাশরাফি বিভাগীয় পর্যায়ে গেমসের ভেন্যুতে থাকতে পারবেন না। তাই তিনি তরুণ ক্রীড়াবিদদের খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন। গেমসের বিভাগীয় পর্বের খেলা উপলক্ষে রোববার বিওএ’র ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ভিডিওবার্তা প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। দেশের আট বিভাগে তরুণ ক্রীড়াবিদদের উৎসাহ দিতে বিওএ ইতিমধ্যে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মনোনীত করেছে বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের সাবেক ও বর্তমান ২২ তারকা ক্রীড়াবিদকে। যাদের বিভাগীয় পর্যায় থেকে প্রত্যেক ভেন্যুতে উপস্থিত থাকার কথা। মাশরাফি ছাড়া বাকি ২১ জনই আট বিভাগে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান বিওএ’র সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ। যুব গেমসের মাধ্যমে তরুণ প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করছে বিওএ। প্রায় ২৩ হাজার ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে জেলা পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা সাড়ে তিন হাজার তরুণ ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণে আজ শুরু হচ্ছে যুব গেমসের বিভাগীয় পর্বের খেলা। মশাল প্রজ্ব¡লের মধ্যদিয়ে দেশের আট বিভাগে একই দিনে খেলা মাঠে গড়াবে। নতুন এ গেমস দেশজুড়ে সারা ফেলেছে বলে জানান বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। তার কথায়, ‘আমরা প্রচুর সাড়া পেয়েছি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অনেক প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। চূড়ান্ত পর্বেও মান যাচাই করে ভালোমানের ক্রীড়াবিদ বাছাই করা হবে।’
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর দেশের ৬৪ জেলায় ২১টি ডিসিপ্লিনে শুরু হয়েছিল যুব গেমস। তবে সব জেলায় ২১ ডিসিপ্লিনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ পর্বে কোনো বিভাগেই সব ডিসিপ্লিনের খেলা হচ্ছে না বলে জানান বিওএ’র
উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু। তার কথায়, ‘কিছু ডিসিপ্লিন রয়েছে, যা সব জেলায় প্রচলন নেই। তাই দেখা গেছে পুরো বিভাগে অপ্রচলিত ডিসিপ্লিনে মাত্র চার কিংবা পাঁচটি দল হয়েছে। তাই সেগুলোকে আমরা বিভাগীয় পর্বে না খেলিয়ে চূড়ান্ত পর্বে সুযোগ দিচ্ছি। ফলে সব বিভাগেই ২১টি ডিসিপ্লিন হচ্ছে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘দেশের আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবকাঠামো পরিপূর্ণ বলে এ তিন বিভাগীয় শহরে সব খেলা অনুষ্ঠিত হবে। বাকি পাঁচটি বিভাগের খেলা কয়েকটি জেলায় বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।’ বরিশাল বিভাগীয় শহর ছাড়াও বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে এই বিভাগের খেলা হবে। রাজশাহী সদর ছাড়াও বগুড়া, জয়পুরহাট, নাটোর ও পাবনা, খুলনা সদর ছাড়াও নড়াইল, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া, রংপুর বিভাগীয় শহর ছাড়াও দিনাজপুরে এবং ময়মনসিংহের খেলা বিভাগীয় সদর ছাড়াও শেরপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিভাগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও সাতটি ক্রীড়া স্থাপনায়, মিরপুরের দুই ভেন্যু এবং সাভারের বিকেএসপিতে। চট্টগ্রাম বিভাগের খেলা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও জিমনেশিয়ামে, মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স, চট্টগ্রাম সুইমিংপুল ও পাঁচলাইশে জাতিসংঘ পার্ক পুল ও শিশিরতলা সিআরবিতে এবং সিলেটে জেলা স্টেডিয়াম ও আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এই বিভাগের খেলা হবে।
