হকি ফেডারেশনের নির্বাচন
আপত্তির দিনে নানা অঘটন!
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হকি ফেডারেশনের বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আসন্ন। এখন চলছে কাউন্সিলরশিপের উপর আপত্তি। রোববার আপত্তির দিনেই ঘটে গেছে নানা অঘটন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জেলার বেশকটি কাউন্সিলরশিপ জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। এছাড়া হকির পরিচিত মুখ ও সাবেক সহসভাপতি সাজেদ এ আদেলের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় রাখা হয়নি। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক একেএম মুমিনুল হক সাঈদের লোকেরাই নাকি বাধা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠকরা। যারা না থাকলে তৃণমূল থেকে ক্রীড়াবিদরা উঠে আসতেন না। হকির নির্বাচনে সাঈদের নিশানা হয়েছেন তৃণমূলের সেই সংগঠকরাও। ১১ জন বঞ্চিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার চিঠি নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন রাজশাহীর রতন। সেই চিঠি রিসিভ না করে ফটোকপি করে আনতে বলে নির্বাচন কমিশন। ফটোকপি করে নির্বাচন কমিশনে পৌঁছাতে রতনের ৫ মিনিট দেরি হয়। আর তাতেই নাকি নির্বাচন করার যোগ্যতা হারান তিনি। রতনের কাছে থাকা চিঠি গ্রহণ করেনি নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়েও সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রতন বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি মাত্র ২-৩ মিনিটের বিষয়, তাদের চিঠি গ্রহণ করা হোক। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা করেনি।’
অভিযোগে আরও জানা যায়, হকির সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও সংগঠক সাজেদ এ আদেলের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় ছিল না। নিজের ক্লাব হকি ইউনাইটেড হলেও সেখানে দেখতে পান অন্য একজনের কাউন্সিলরশিপ। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিতে ক্রীড়া পরিষদে যান সাজেদ এ আদেল। তিনিও সাঈদের বাধার সম্মুখীন হন। সাজেদ এ আদেল বলেন, ‘হকি ঢাকা ইউনাইটেডের কাউন্সিলর আমি এবং আমার আরেকটি ক্লাব কম্বাইন্ড স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ দেওয়া হয়েছিল জহিরুল ইসলাম মিতুলকে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় আমাদের কারও নাম নেই। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিতে গিয়েছিলাম নির্বাচন কমিশনে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ সম্পাদক মুমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘চিঠি জমা দেওয়া যাবে না। আপনি চলে যান।’ তিনি যোগ করেন, ‘এমনকি মিতুলের কাছ থেকে আপত্তিপত্রও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সাঈদের লোকেরা।’ হকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চার বছরের মধ্যে দুটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিলেই কাউন্সিলরশিপ পাবে দলগুলো। অবাক হলেও সত্যি যে, গত চার বছরে মাত্র একবার হয়েছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। অথচ হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটি গত নির্বাচনে যে ৪১ জেলা-বিভাগ কাউন্সিলর ছিল তাদের কাছেই কাউন্সিলরশিপের চিঠি দিয়েছে। এর বাইরে থাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর দাবি, আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ফেডারেশন খেলা আয়োজন করতে পারেনি। এ ব্যর্থতা ফেডারেশনের। এজন্য আমরা কাউন্সিলরশিপ বঞ্চিত হব কেন?’
