অন্য ভাবনা
শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করতে হবে
আবু আহমেদ
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২১, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন আছেই। কখনো এটি খুব দ্রুত উত্থানের দিকে যায়; আবার যত দ্রুত উত্থানের দিকে যায়, সে গতিতে পতনও হয়।
এ অবস্থা সারা পৃথিবীতেই দেখা গেছে। আমাদের শেয়ারবাজারেও মূল্যসূচক চার হাজার ইনডেক্স থেকে সাত হাজার ৩৫০ পর্যন্ত উঠেছে। এটি বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই উঠেছে বলা যেতে পারে। পৃথিবীতে অন্য দেশের শেয়ারবাজারগুলোতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্বের কোনো কোনো দেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক এক হাজার থেকে দুই হাজার বা তিন হাজার পয়েন্টস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের কোথাও কোথাও খুব ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য শেয়ারবাজারে একটার সঙ্গে আরেকটার তুলনা এভাবে দেওয়া যাবে না।
কারণ, বিশ্বের যেসব দেশে শেয়ারবাজার দ্রুত উত্থান হয়েছে; সেসব দেশে যে দ্রুত পতন হয়েছে, সেটিও বলা যাবে না। কারণ, অনেক দেশেই শেয়ারবাজারের মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বগতি একটা নির্ভরযোগ্য অবস্থানে স্থির হয়েছে।
আবার কোনো কোনো দেশে এর বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে। আসলে শেয়ারবাজারে এ উত্থান-পতন অনেক কিছুর ওপরই নির্ভর করে। যেমন, যে দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ বা ইকোনমিক গ্রোথ, সেটি জিডিপি বা যেটি দিয়েই পরিমাপ করা হোক না কেন; সেটি বাজার মূল্যসূচকের সঙ্গে সম্পর্কিত। আবার একটি দেশের আমদানি-রপ্তানির অবস্থা, মূল্যস্ফীতি এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ কারেন্সির বিপরীতে লোকাল কারেন্সির বিনিময় হার ইত্যাদি অর্থনৈতিক অবস্থাগুলোও এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
যেসব দেশের অর্থনীতির অনেকটা চাপ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে, সেসব দেশের শেয়ারবাজার একটি ভালো অবস্থানে থাকে এবং ধীরে ধীরে ওপরের দিকেই উঠতে থাকে।
অপরদিকে, যেসব রাষ্ট্রের অর্থনীতি ভঙ্গুর এবং হঠাৎ করে অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে যায়, ওইসব দেশের শেয়ারবাজারও হঠাৎ সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সমস্যায় আক্রান্ত হলে আমরা বলি যে, শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে বা শেয়ারবাজারে বড় রকমের মূল্য সংশোধন হচ্ছে।
বাংলাদেশের শেয়ারবাজারটি আমাদের জিডিপির তুলনায় কখনোই বড় ছিল না। এটি বর্তমানে জিডিপির আকারের তুলনায় ১৭ থেকে ১৮ পার্সেন্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশের জিডিপি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, আমাদের শেয়ারবাজারের মার্কেট ক্যাপিটাল সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি।
যার ফলে পার্সেন্টের দিক থেকে শেয়ারবাজার নিচেই অবস্থান করেছে। অনেকে আফসোস করে বলে থাকেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার জিডিপির আকারের তুলনায় মার্কেট ক্যাপিটাল বা বাজারের সাইজ অনেক ছোট; অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এটি অনেক বেশি।
কোনো কোনো দেশে শেয়ারবাজার জিডিপির ১০০ ভাগেই অবস্থান করেছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতেও শেয়ার মার্কেট জিডিপির ৪০-৫০ পার্সেন্টে রয়েছে।
৫০-৬০ ভাগ তো পৃথিবীর অনেক দেশেই আছে। তাহলে আমাদের দেশে কম কেন? এর মূল কারণটি হচ্ছে, এখানে আমরা যদি জিডিপির বিপরীতে শেয়ারবাজার মূল্যে মূলধন (যেটিকে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন বলে) বাড়াতে চাই, তাহলে সব শেয়ারের মূল্যই এভারেজে বাড়াতে হবে; যেটি করা মোটেই উচিত হবে না।
কারণ, এখন শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক যে সাত হাজার ইনডেক্সে আছে, সেটি যদি ১০ হাজারে চলে যায়, তাহলে জিডিপির তুলনায় বাজার মূলধন ২৫ পার্সেন্টে চলে যাবে।
সেটি ঠিক হবে না। ঠিক হবে না এজন্য-তখন এ মূল্যগুলো ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এখন তো মূল্যসূচক সংশোধন হচ্ছে কিছুটা নরমভাবে। তখন সংশোধন হবে অনেকটা আঘাতের সঙ্গে। যার ফলে বিনিয়োগকারী যারাই শেয়ারবাজারে আসতে চায় বা যারা লেগে আছে, তারা সবাই বেশ জোরেশোরেই আঘাতপ্রাপ্ত হবেন।
অন্য ব্যাখ্যা হচ্ছে, শেয়ারবাজারে মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়াতে গেলে অর্ডিনারি কতগুলো জাংক স্টক বা পুওর কোয়ালিটির শেয়ারের দামও বেড়ে যাবে।
আমাদের শেয়ারবাজারে এ ধরনের স্টকে ভর্তি হয়ে আছে। সুতরাং, মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়ালে বাইরে এসব জাংক স্টকের মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। আর এসব জাংক স্টক বা বাজে শেয়ারের মূল্য বেড়ে গেলে তখন জিডিপির বিপরীতে পার্সেন্টেজও অনেক বেশি দেখাবে। তখন অনেকে এটি নিয়ে বাহবা কুড়াবে এবং সুবিধা নেবে।
তখন শেয়ার নিয়ে জুয়া, গুজব সৃষ্টি হবে। যার ফলে শেয়ারবাজারে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুতরাং, এ ধরনের জাংক স্টকের মূল্যবৃদ্ধি করে বাজার মূলধন বৃদ্ধি করা এবং পরে এটিকে জিডিপির সঙ্গে তুলনা করা খুবই বিপজ্জনক হবে।
আমরা একটু উন্নত বিশ্বের দিকে নজর দেই। বিশ্বে যেসব দেশে জিডিপির ৪০-৫০ পার্সেন্ট বাজার মূলধন রয়েছে, সেসব দেশে কোয়ালিটি স্টক অনেক গুণ বেশি রয়েছে।
ভারতে পাঁচ হাজার কোম্পানি রয়েছে, এ পাঁচ হাজার কোম্পানির মধ্যে ভূরিভূরি কোম্পানি আছে অনেক উন্নতমানের। আমাদের এখানে ভূরিভূরি ভালো কোম্পানি তো দূরে থাক, দু-এক ডজন ভালো কোম্পানি আছে কিনা সেটাই তো সন্দেহ করি। তাই এখানে ভালো কিছু আশা করা দুরূহ। যা হোক, ফান্ডামেন্টাল দেখেই যেসব বিনিয়োগকারী স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করছেন, তারা আজ হোক, কাল হোক, জয়ী হবেনই।
এ কথা দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য, আমাদের পুরো মার্কেটের যে টার্নওভার, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ১৫০০-১৬০০ বা ১৭০০ কোটি পর্যন্ত পৌঁছেছিল, এর মধ্যে ৮০ ভাগই ছিল জুয়া, যেটিকে শেয়ার গ্যাম্বলিং বলা হয়। এ ধরনের শেয়ার গ্যাম্বলিং শেয়ারবাজারের জন্য কখনোই কাম্য হতে পারে না। কেননা, গ্যাম্বলিং একটি ভালো শুদ্ধ শেয়ার মার্কেটের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত নয়। একটি শুদ্ধ শেয়ার মার্কেটে গ্যাম্বলিং এলিমেন্ট থাকতে পারে, তবে কোনো কারণ ছাড়াই হাইলি স্পেকুলিটি নিয়ে ক্রয় বা চাহিদা তৈরি করা, এটি এক ধরনের শেমলেস গ্যাম্বলিং। শেয়ারবাজারে স্পেকুলেশন থাকবে; কিন্তু এর পেছনে অবশ্যই কিছু কার্যকারণ থাকা উচিত।
যেমন, বাংলাদেশে অনেক শেয়ারের দাম ৪-৫-৬ গুণ হয়েছে, যার পেছনে কোনো কার্যকারণ ছিল না। আমি যেটি আগেই বলছিলাম, আমাদের মূল্যসূচক ৪ হাজার ইনডেক্স থেকে ৭ হাজার ৩৫০ ইনডেক্সে আবির্ভূত হয়েছে এবং এটি অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই হয়েছে। তখন বিনিয়োগকারীদের কাছে বিষয়টি ভালোই মনে হয়েছে, তারা খুশিও হয়েছে। সবাই এর সুবিধাও নিয়েছিল। এর মধ্যেই ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার জন্য তাদের পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন দিয়েছিল। কোনো কোনো ব্যাংক এটি গ্রহণ করেছে, আবার কোনো কোনো ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার ১ টাকাও ক্রয় করেনি। এ রকম অনেক উদাহরণ আছে। এখন আমরা শুনছি, ব্যাংকগুলো তাদের পোর্টফোলিওর অতিরিক্ত ক্রয় করেছে এবং সেগুলো থেকে এক্সপোজার যাদের বেশি হয়েছে, সেগুলো বিক্রি করতে পারছে। আবার বেক্সিমকো গ্রুপের সুকুফ, সেটি সাবস্ক্রাইব করেছে ব্যাংকগুলো। সেটিকেও আবার ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার লিমিটের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছে; যার কারণে যারা আগে ওই ২০০ কোটি টাকা এক্সপোজার লিমিটে ছিল, সেসব ব্যাংক পোর্টফোলিও থেকে তাদের শেয়ারগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। আইসিবির কাছে ব্যাংক অনেক টাকা পাবে এবং তারাও সুকুফের মধ্যে একটা বড় অংশ কিনেছে। তারাও নেট সেলার। এখন প্রশ্ন হলো, গত ১৫-২০ দিনে কে কে নেট সেলার? সেটি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবে এসইসি এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের যারা ডেলিগেট, তারা রেকর্ড দেখে বুঝতে পারবেন কারা নেট সেলার। আমরা শুনি, বাজারে আইসিবিসহ ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনেক নেট সেলার হয়েছে, যার কারণে শেয়ারবাজারে সাপ্লাই বেড়েছে, চাহিদা দুর্বল হয়ে গেছে এবং মূল্যসূচক নিচের দিকে যাচ্ছে।
বর্তমানে মূল্যসূচক ৭ হাজারের নিচে এসে গেছে। এক সময় মনে হয়েছে, মূল্যসূচক হয়তো ৭ হাজারের নিচে নামবে না। শেয়ারবাজার অনেক সময় আমাদের ধারণাকে বা প্রত্যাশাকে পরাভূত করে। গত ৭ তারিখে যে পতনটি হয়েছে ৫০ পয়েন্ট-সেটি আমরা আশা করিনি। এখানে লক্ষণীয়, বেশকিছু ফান্ডামেন্টাল শক্তিশালী শেয়ারের মূল্য পড়ছে। যেসব শক্তিশালী শেয়ার পুঁজিবাজার থেকে জুয়া তাড়াত, সেগুলো যখন পড়ে যায়, তখন দরপতন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদের এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
বিমা খাতে অনেক শেয়ারের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। অর্থাৎ বেশ অল্প সময়ের মধ্যেই এসব শেয়ারের মূল্য রাইট ভ্যালুর ওপরে ৪-৫ গুণ হয়ে গেছে। মার্কেট ম্যানুপুলেশন থেকে গতবার কিছু গ্রুপ একত্রে সিন্ডিকেট করে ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে সেটা করেছে।
আমরা যখন একাডেমিক অ্যানালাইসিসে যাই, তখন দেখি ফান্ডামেন্টাল প্রাইস যেখানে থাকা উচিত, সেখান থেকে ৩-৪-৫ গুণের ওপরে উঠে গেছে। ওইসব স্টক কারেকশন ওভারডিউ ছিল। বিশেষ করে টেক্সটাইল ও বিমা কোম্পানি এ দুটি সেক্টরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং, সেগুলো এখন কারেকশনের দিকে যাচ্ছে। আমি জানি না, কারেকশনটি কোথায় গিয়ে থামবে। ডিমান্ড সাপ্লাই একটা পর্যায়ে এলে মার্কেট স্টেবিলাইজড হয়ে যাবে। আমাদের শেয়ারবাজারে এমন সম্ভাবনা খুব বেশি। যদি ইনস্টিটিউশনাল হেভি সেল প্রেসার না থাকে, তাহলে মার্কেট স্টেবিলাইজড হওয়াটা খুব স্বাভাবিক এবং সেটি খুব শিগ্গির হবে বলে আশা করা যায়।
জুয়া, হাই স্পিকুলেশন, হিউমার এগুলো থেকে পুঁজিবাজারকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশে ৩১৫ বা ৩২০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত আছে। এসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কোয়ালিটি স্টকের সংখ্যা যেগুলোতে ২-৩ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যায়, এমন শেয়ারের সংখ্যা খুবই সীমিত। দেশে অনেক ভালো কোম্পানি ব্যবসা করে যাচ্ছে। কিন্তু এসব ভালো কোম্পানির অনেকেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়। যেমন ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনেক ভালো কোম্পানি আছে, যারা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। হয়নি কেন, তার উত্তর যারা পলিসি মেকিংয়ে আছেন-মিনিস্ট্রি অফ ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ এবং সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন তারা দিতে পারবেন। এসব ভালো ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার কথা আমি সবসময় বলে আসছি; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এসব ভালো কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আওতায় আনার জন্য তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জানা উচিত তারা কী চায়। সরকারের কাছে তাদের বিভিন্ন রকম চাহিদা থাকতে পারে। তাদের চাহিদাগুলোকে নেগোসিয়েট করে শেয়ারবাজারের আওতায় আনতে পারলে সরকারেরই অনেক লাভ হবে। কারণ, দেশের মোট ট্যাক্সের ৮০ ভাগ ট্যাক্সই দিচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ বিজনেস সেক্টরে করপোরেট ইনকাম ট্যাক্স হিসাবে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে, তার ৮০ ভাগই দিচ্ছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো। ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করলে স্বচ্ছতা বাড়ে, দায়বদ্ধতা বাড়ে এবং দেশের জাতীয় রাজস্বের পরিমাণও অনেক বেড়ে যেত। সুতরাং, আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের উচিত হবে বড় বড় কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করা। এতে করে দেশের জনগণ মালিকানা পাবে। শেয়ারবাজারে একটা আস্থা ফিরে আসবে। দেশের জনগণকে রুগ্ন ও ক্ষুদ্র কোম্পানির মালিক বানিয়ে তো কোনো লাভ নেই। মালিক বানাতে হবে ইউনিলিভারের মতো কোম্পানির, মালিক বানাতে হবে নেসলের মতো কোম্পানির, মেটলাইফের মতো কোম্পানির, ইনসেপ্টার মতো কোম্পানির। এতে করে পরিশেষে রাষ্ট্রই উপকৃত হবে। সুতরাং, বিষয়টি নিয়ে সরকারের ভাবা উচিত।
আবু আহমেদ : প্রফেসর ও অর্থনীতিবিদ
